মিতালির বেস্ট ফ্রেন্ড

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

আমি একসময় মিতালির বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। সে সময় মিতালি প্রতিদিন বিকেলে আমার কাছে আসত। তারপর একসঙ্গে ড্রয়িং করতাম আমরা দুজন। মিতালির আঁকা ছবিগুলো তো আমিই রং করে দিতাম। ছবি আঁকতে আঁকতে আমার সঙ্গে অনেক গল্প করত ও। আমার রং করা মিতালির আঁকা ছবিগুলো দেখে সবাই ওর কত প্রশংসা করত। সবার প্রশংসা শুনে মিতালি যখন মিষ্টি করে হাসত, তখন আমার মনে হতো আমার জীবন সার্থক। মিতালি যেদিন আমার সঙ্গে আঁকা ছবি দিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছিল, সেদিন তো ও খুশিতে কেঁদেই ফেলেছিল। সেদিন খুশিতে আমিও কেঁদেছিলাম ওর সঙ্গে। কিন্তু আমার কান্না কেউ দেখেওনি, বোঝেওনি। তাতে অবশ্য আমার কোনো দুঃখও নেই। আজ এক বছর হয়ে গেল মিতালি আর আমার কাছে আসে না। মিতালি আর আমার সঙ্গে ছবি আঁকে না, গল্প করে না। ও তো আমার দিকে আর ফিরেও তাকায় না। মিতালি এখন ডিজিটাল মাধ্যমে ছবি আঁকে। আমার কথা তো মিতালি ভুলেই গেছে। আমি আর মিতালির বেস্ট ফ্রেন্ড নেই, কিন্তু মিতালি সব সময়ই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড থাকবে। কে আমি? আমি হলাম মিতালির কালার বক্স।

লেখক: ষষ্ঠ শ্রেণি, কটিয়াদী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ