মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুমি আমার প্রিয় বন্ধু

অলংকরণ: মাহাতাব রশীদ

প্রিয় কিআ,

আমি এবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। জানো, আমার কোনো ভাইবোন নেই! আমার মা চাকরিজীবী। বাবাও বাসায় থাকে না সব সময়। আমার সব সময়ের সঙ্গী তুমি। তুমি আসার পর আমার একাকিত্ব দূর হয়ে গেছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুমি আমার প্রিয় বন্ধু হয়ে থাকবে। এর আগেও তোমার কাছে চিঠি পাঠিয়েছি আমি, উত্তর দাওনি। আমার বান্ধবীরা বলে, ‘এ তোর কেমন বন্ধু যে তোকে একবারও মনে করে না?’ কিন্তু আমি জানি তুমিই আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু।

তাহমিদা মেহরীন

পঞ্চম শ্রেণি, জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জামালপুর

কিআ: আরে বোকা, ভাইবোন নেই মানে? পুরো কিশোর আলোর সবাই তোমার ভাইবোন, বন্ধু। ভাইবোনদের কাছে সবাই যেমন আবদার করে, তুমিও নিশ্চিন্তে তেমনি করবে (শুনে হয়তো আমরা উড়িয়ে দেব, ভাইবোনেরা যেমন করে!)। আর তোমার বান্ধবীদের বলে দিয়ো, সংবাদ সম্মেলন করে বন্ধুত্বের প্রমাণ দিতে হয় না। বন্ধুর কথা সব সময়ই মনে থাকে আমাদের।

ভালো থেকো। আরও চিঠি পাঠিও।

প্রিয় কিআ,

আমি অনেক বড় একটা সমস্যায় পড়েছি। মানে তোমাকে এই চিঠি পাঠানোর টাকা জোগাড় করতে গিয়ে বন্ধু বিপুর কাছে দুই বিঘা জমি বন্ধক রেখেছিলাম। জমি বন্ধক রাখার সময় বিপু আবার একটা শর্ত জুড়ে দেয়। শর্তটা হলো, তুমি যদি এই চিঠি না ছাপাও, তবে সে আমাকে জমিটা আর ফেরত দেবে না। মনের দুঃখে একটা কবিতা লিখে ফেলি—

বিঘে দুই ছিলো মোর ভুঁই

তাও গেল ঋণে

বিপু বলিল, বুঝেছ সাদাত, এ জমি পাবে না বিনে

কী করিয়া পাই ফিরিয়া জমি

চিঠি যদি না পড়ো কিআ ভাই তুমি

নাজমুস সাদাত খান

দশম শ্রেণি, সেনাপল্লী হাইস্কুল, ঢাকা

কিআ: সমস্যা নেই। আশা করি জমিটা পানির নিচে আছে। নইলে তুমি নিশ্চয়ই চিঠি ছাপানোর শর্তে রাজি হয়ে বন্ধুর কাছে জমি বন্ধক রাখতে না। ভালোই বুদ্ধি করেছ। চিঠি ছাপতে তো অনেক দেরি, এ কয় দিনে পানি শুকাক, বিপু জমিটা ঠিকঠাক করুক, চিঠি ছাপা হলে ঠিক আবার জমি বুঝে নেবে, তাই না? কী বুদ্ধি! আর কবিতাটাও ভালো লিখেছ। শুনেছি এই কবিতা অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথও একটা কবিতা লিখেছিলেন।