বল্টু সব সময় তিনটে চশমা নিয়ে ঘোরে। তা দেখে তার শিক্ষক একদিন ওকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার বল্টু, তুমি সব সময় তিনটে চশমা নিয়ে ঘোরো কেন?’ বল্টু তখন স্যারকে হাসিমুখে উত্তর দিল, ‘একটা দিয়ে আমি লেখাপড়া করি, আরেকটা দিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াই। আর তৃতীয়টা দিয়ে প্রথম দুটোকে খুঁজে বেড়াই।’
যাদের চোখে সমস্যা, তারাই শুধু চশমা পরবে—এ ধারণা এখন বড্ড সেকেলে। আজকাল চশমা পরাও হয়ে উঠেছে ফ্যাশন। বিখ্যাত ফ্যাশন আর্টিস্ট ব্র্যাড গোরেস্কিও তা-ই বলেন। তাঁর মতে, নতুন একটা চশমা বা রোদচশমা নাকি তোমার চেহারাটাই বদলে দিতে পারে, যেমনটি পারে তোমার হেয়ার স্টাইল। ভাবছ, ফ্যাশন করার জন্য এই চশমা আবার কোথায় কিনতে যাবে? কিনতে যাওয়ার ঝামেলায় তোমাকে আর যেতে হবে না। তুমি নিজেই চাইলে তৈরি করে নিতে পারো রং-বেরঙের মজার চশমা। কৌশলটা শিখে নাও জলদি।
যা যা লাগবে
বোর্ড পেপার/হার্ড পেপার/আর্ট পেপার/ক্যালেন্ডারের পাতা/ খাতার মলাটের পাতা
রঙিন কাগজ
রং পেনসিল ষ আঠা ও কাঁচি
যেভাবে বানাবে
অপর পৃষ্ঠায় দেওয়া পছন্দের ফ্রেমগুলো মাপমতো কেটে নাও। মোটা কোনো কাগজ, যেমন ধরো হার্ড পেপার, আর্ট পেপার, বোর্ড পেপার কিংবা ক্যালেন্ডারের খাতা বা খাতার মলাটের পাতার ওপর সেই ফ্রেমটির মাপে কাগজটুকু কেটে নাও। এমন মাপে ফ্রেমটা কাটবে যেন তার ভেতরে তোমার চোখ ঠিকমতো দেখতে পাওয়া যায়। চশমার ফ্রেমের দুই পাশের কোনার অংশটুকু এবার ভাঁজ করে রাখো। এবার হাত লাগাও চশমার হ্যান্ডেল তৈরির কাজে। চশমার হ্যান্ডেলও তুমি পছন্দসই ডিজাইনে মাপমতো কেটে নাও। এমনভাবে কাটবে, যাতে সেটা তোমার কানের ওপর ঠিকমতো বসে আর মাথার সঙ্গে এঁটে থাকে। চশমার ফ্রেমের ভাঁজ করা দুই কোনায় আঠা দিয়ে হ্যান্ডেল দুটি লাগিয়ে নাও। আর রঙিন কাগজ, রং দিয়ে নিজের ইচ্ছামতো চশমার ডিজাইন করো। ব্যস! হয়ে গেল রংবেরঙের ফ্যাশনেবল মজার চশমা।
ওপরের ফ্রেমগুলো মাপমতো কেটে হার্ডপেপারে বসিয়ে কাটো। এরপর সেগুলোকে ইচ্ছেমতো রাঙিয়ে নাও।