শহরবাসী

বাইরে থেকে বিল্ডিংয়ের ভেতর লোকটাকে ঢুকতে দেখে দ্রুত হেঁটে চলে এল সজল। উদ্দেশ্য, লিফটা যেন তাকে না নিয়ে ওপরে চলে যায়। নাহলে অনেকটা সময় আবার অপেক্ষা করতে হবে। লোকটা ততক্ষণে এসে লিফটের সুইচ টিপে দিয়েছে, নিচে আসছে লিফট। লিফটের দরজা খুলে একজন মহিলা বের হলো, সঙ্গে সজলও। হঠাৎ পেছন থেকে একটা তরুণী লিফট থামানোর ইশারা করে দ্রুত ভেতরে ঢুকে গেল।

বন্ধ হলো লিফট। ‘ফাইভ’ লেখা বাটনে চাপ দিল লোকটা। লাল আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠল সংখ্যাটা। বাকি দুজন যেভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল, সেভাবেই রইল। তিনজনেরই গন্তব্য পাঁচতলা। লিফট নিঃশব্দে ওপরে উঠছে, একটা শব্দও করল না কেউ।

লিফটের দরজা খুলল। প্রথমে তরুণীটি, তারপর লোকটা এবং সবশেষে সজল বের হলো। তিনজন পাশাপাশি তিনটা ফ্ল্যাটে ঢুকে গেল। কারও মধ্যেই কোনো কথা হলো না, অথচ কমবেশি দুই বছর ধরে তারা এ বিল্ডিংয়েই বসবাস করছে।

দ্বাদশ শ্রেণি, নটরডেম কলেজ