শাটলকক ও ফুটবল

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

শাটলকক ও ফুটবলের এক বাহাস হলো আজকে

কে বড়, কে ছোট; কিংবা সত্যি মহারাজ কে?

এটাই ছিল বিষয়বস্তু; স্থান ছিল নিচ কামরা

শ্রোতা বলতে আমি, লুবনা, ভাই দুটি ইশমামরা।

শাটলককের যুক্তি: সেরা খেলাই তো ব্যাডমিন্টন

এর প্রমাণে কাগজ আছে তার কাছে প্রায় তিন টন

শাটলককের ভাগ্য ভালো, যখন তারা খায় ঘা

পরিভ্রমণ করে মাত্র অল্প ক’গজ জায়গা।

এর সুবিধে হলো, বেশি ক্লান্ত হতে হয় না

যেমন ধরো, ভুলুর সাথে খেলছে একক ময়না

কিংবা ধরো, যৌথ খেলায় নামল মিমি, লুবনা

দু তিন গেমে একটি শাটল আঘাত যা পায়, খুব না।

খেলা চললে রাজার ঠাটে শাটল ওড়ে শূন্যেই

ধাক্কা, গুঁতো, ল্যাং—এ খেলার এমনটি বদ গুণ নেই

কম ‘ফাউল’–এর খেলা এটা, খুবই পরিচ্ছন্ন

এমন খেলার উপকরণ হয়ে সে খুব ধন্য।

শাটলককের দাবি শুনে বলল খেপে ফুটবল,

‘ছাগল ওরে, তোর তুলনায় আমাকে তুই “উট” বল

তোর সীমানা ছোট্ট হলেও আমারটা দ্যাখ মস্ত

এসব বিচার করলে হতাম আমিই তোদের বস তো!

তোর খেলোয়াড় সংখ্যা দু-চার, আমারটা যায় বাইশে

তোকে বড় বলবে যেজন আহাম্মকের ভাই সে।

মনে রাখিস, করিস যদি সারা জীবনভর শোক

তোর কপালে জুটবে না রে আমার সিকি দর্শক

আমিই রাজা, আমার ছবি প্রচার করে বিশ্ব

বিশাল বিশাল স্টেডিয়ামে তুই কি দেখেছিস শো?

র৵াকেট দিয়ে পিটায় লোকে, তুই সে ছোট চিকনা

দশ ঘা খেলে গা ছেড়ে দিস; বাহাস করিস! ঠিক না।’

শাটলককও বলল রেগে তুঙ্গে ওঠা তর্কে,

‘র৵াকেট দিয়ে লোকে আমার আঘাত করে কর্কে

কিন্তু লোকে লাথি কষে তোমার সারা অঙ্গে

মর্যাদার এ বাহাস সত্যি হয় না তোমার সঙ্গে!’

শাটলকক ও ফুটবলের এ তর্কে গরম কামরা

এই দুটোকে শান্ত করতে হেসে বলি আমরা,

‘নিজকে রাজা ভেবে যতই সাজাও রঙের পালকি

ধোলাই থেকে কেউ বাঁচাতে পারো গায়ের ছাল কি?