‘সচেতনতায় মুক্তি’

একরাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। দেখলাম, আমি অন্ধকার এক ঘরে আটকা পড়েছি, বের হওয়ার কোনো পথ পাচ্ছি না, আমার গলা শুকিয়ে আসছে, আমি অনেক কাঁদছি...ঠিক তখনই আমার ঘুম ভেঙে যায়। চোখ মেলে দেখলাম, ঘরের জানালা দিয়ে সুন্দর রোদ আসছে আর পাখিরা কিচিরমিচির করছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার ভয় কেটে গিয়ে আনন্দে মনটা ভরে উঠল। এই অনুভূতির সঙ্গে যেন কিছুর আর তুলনাই হয় না। প্রায় ১৮ মাস পর যখন আমাদের স্কুল খুলল, আমার অনুভূতিটা ছিল ঠিক এমনই। যেন এক আঁধার রাত কেটে গিয়ে সূর্য এসে উঁকি দিল আমার পৃথিবীতে। স্কুলে যেতে এত আনন্দ কখনোই বোধ করিনি আগে। এত দিন করোনার সঙ্গে বসবাস করে কিছু নিয়মকানুনে খুব অভ্যস্ত হয়েছি, এবার স্কুলে গিয়ে দেখলাম, করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখতে আমাদের শিক্ষকেরাও নতুন নিয়মকানুন চালু করেছেন। আমরা ভালোভাবে সাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়ে স্কুলে প্রবেশ করি, শ্রেণিকক্ষে ঢোকার আগে আমাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় এবং যাদের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাদের বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষেও আমরা মাস্ক পরে থাকি আর তিন ফুট দূরত্বে বসি। যদিও বন্ধুদের থেকে দূরে বসতে মাঝেমধ্যে ভালো লাগে না, তবে অসুস্থ হলে আবার স্কুলে আসাই বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণেই নিয়মগুলো ঠিকমতো মেনে চলি। আমরা মনে রাখব, আমরা সচেতন থাকলে আমাদের হবে জয়।

লেখক: ষষ্ঠ শ্রেণি, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম