সহজ পাঠের গপ্পো

‘সহজ পাঠের গপ্পো’ মানস কুমার মুকুল পাল পরিচালিত একটি ছবি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘তালনবমী’ অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে।

গোপাল ও তার ছোট ভাই ছোটুকে ঘিরেই। তাদের বাবাই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। একটি দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোজগার বন্ধ হয়ে যায় তার। ফলে পরিবারটিতে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। গোপাল আর ছোটুর মা একা কোনোমতেই সংসার চালাতে পারছেন না। স্কুলে যাওয়া তো দূরের কথা, দুবেলা খাবার, বাবার ওষুধ—এসব নিয়েই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এ জন্য কোনো উপায় না দেখে ছোট ভাইকে নিয়ে কাজের সন্ধানে বের হয় গোপাল। কাজ বলতে গেলে তেমন আহামরি কিছু নয়। বাজারে শাকসবজি, তাল বিক্রি করা, অন্যের বাড়ির কুয়া পরিষ্কার করা—এসবই তার উপার্জন।

একদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গ্রামের এক বড় বাড়িতে পূজার আয়োজন করা হবে এবং একই সঙ্গে গ্রামের লোকজনকে ভালোমন্দ খাওয়ানো হবে। এ কথা শুনে গোপাল ও ছোটু তো মহাখুশি। তবে তাদের কপালে চিন্তার রেখা দেখা দেয়। দাওয়াত পাবে কি পাবে না, এই সংশয়ে দুই ভাইয়ের দিন কাটতে লাগল। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানতে ছবিটি দেখতে হবে। ইউটিউবেই দেখতে পারবে ছবিটি।

গোপালের চরিত্রে অভিনয় করেছে নূর ইসলাম, ছোটুর চরিত্রে সামিউল আলম এবং তাদের মায়ের চরিত্রে ছিলেন স্নেহা বিশ্বাস। এই তিনজনের অসাধারণ অভিনয়ে ছবিটি হয়ে উঠেছে আরও উপভোগ্য।

ছবিটিতে এমন কিছু দৃশ্য আছে, যার কথা না বললেই নয়। একটি দৃশ্যে গোপাল খাবারের প্লেটে লাথি মেরে চলে যায়। সে রাগে, দুঃখে জনমানবহীন জঙ্গলের মধ্যে একা বসে থাকে। দৃশ্যটি দেখে এতটা বাস্তব এবং সুন্দর মনে হয়, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। নূর ইসলাম ও সামিউলের অভিনয় আমাকে অভিভূত করেছে। তোমরাও দেখতে পারো ছবিটি।

লেখক: সপ্তম শ্রেণি, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা