হাত ধোয়ার পাঠ নাও

হাত ধুলাম, আর হয়ে গেল? এত সহজ? সত্যিই সহজ, তবে নিয়মটা জানলে। জেনে নাও ধাপে ধাপে।

ধাপ ০: হাত ভিজিয়ে নাও কলের পানিতে।
ধাপ ১: পর্যাপ্ত সাবান নাও হাতে, যাতে তা দিয়ে দুই হাতের চারটা পিঠ সাবানের ফেনা দিয়ে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা যায়।
ধাপ ২: পর্যাপ্ত সাবান নাও হাতে, যাতে তা দিয়ে দুই হাতের চারটা পিঠ সাবানের ফেনা দিয়ে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা যায়।
ধাপ ৩: এবার ডান হাতের তালু দিয়ে ঘষতে হবে বাম হাতের তালুর উল্টোপিঠটাকে। এই সময় দুই হাতের আঙুলগুলো একটা আরেকটার ফাঁকে ঘষা হতে থাকবে। একই নিয়মে বাম হাতের তালু দিয়ে ডান হাতের উল্টোপিঠ পরিষ্কার করতে হবে। একইভাবে আঙুলগুলোর কথাও খেয়াল রেখো।
ধাপ ৪: এবার দুই হাতের তালু ঘষতে হবে, একই সঙ্গে দুই হাতের আঙুলগুলো একটা আরেকটার ফাঁকে ঘষতে থাকবে।
ধাপ ৫: এই ধাপটা একটু কঠিন মনে হতে পারে। তবে বিষয়টা আসলে সহজ। দুই হাতের চারটে করে আঙুলের পেছনের দিকটা পরিষ্কার করার পালা। এক হাতের চারটে আঙুলের পেছনের দিক অন্য হাতের তালুর সাহায্যে পরিষ্কার করতে হবে। ছবিটা একবার দেখে নাও। হাত নড়ানোর ভঙ্গিটাও বুঝতে পারবে, যাতে একই সঙ্গে দুই হাতের মোট আটটি আঙুলের পেছনের দিক পরিষ্কার করা যায়।
ধাপ ৬: এবার এক হাতের বুড়ো আঙুল অন্য হাতের মধ্যে ঘষতে হবে। এভাবে দুই হাতের বুড়ো আঙুলই পরিষ্কার করতে হবে।
ধাপ ৭: এবার এক হাতের সব আঙুলের মাথা অন্য হাতের তালুর ওপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিষ্কার করে নাও। একই নিয়মে পরিষ্কার করো অন্য হাতের আঙুলের মাথাও।
ধাপ ৮: এবার হাত ধুয়ে নাও ভালোভাবে।
ধাপ ৯: হাত মোছার পালা। সম্ভব হলে একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেওয়া হবে, এ রকম কিছু দিয়ে মুছতে পারো।
ধাপ ১০: তোয়ালের সাহায্যে কল বন্ধ করো, তোমার ধোয়া হাত দিয়ে নয়।
ধাপ ১১: এবার তোমার হাত জীবাণুমুক্ত।