আমি তখন ক্লাস টুতে পড়ি (তাই হাফপ্যান্টও পরি)। একদিন আমার হাফপ্যান্ট পুকুরপাড়ে রেখেই গোসল করতে নামলাম। আশেপাশে কেউ ছিল না বলে এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করেছিলাম আমি। আরাম করে গোসল করব, সেখানে প্যান্ট তো একটা বোঝা! আপনমনে গোসল করছি। সাঁতার কাটছি। ডুব জানি ভালো। তাই পানির নিচে ছিলাম অনেকক্ষণ। একটু পর পানির ওপর এসে দেখি আমার হাফপ্যান্টটা নেই। চিন্তায় পড়ে গেলাম। প্যান্ট ছাড়া বাড়ি যাব কীভাবে? আশপাশে তো কেউ নেই। হাফপ্যান্ট নিলো কে? পানিতে দাঁড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। পানিতে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে জোঁক অ্যাটাক করতে পারে। যদিও পুকুরে জোঁকের উপদ্রব ছিল না, তবু ভয় করছিল। আসলে বিপদে পড়লে নানা চিন্তা ভর করে মাথায়। অনেকক্ষণ পানিতে দাঁড়িয়ে থাকার পর ফিকফিক করে হাসার শব্দ এল গাছের আড়াল থেকে। একি! গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে এল হাসান। তার হাতে আমার হাফপ্যান্ট। আমি বললাম, হাফপ্যান্ট দে আমার। সে বলে, না, দেব না। অনেকক্ষণ জোরাজুরি করলাম। তবুও সে বলে, না, দেব না। বললাম, তোকে দোকানে পাঁচ টাকা খাওয়াব, আমার হাফপ্যান্ট দে। টাকার কথা শুনে হাফপ্যান্ট পাড়ে রাখল সে। তারপর চলে গেল। ওই দিন আমি তাকে পাঁচ টাকা খাওয়াইনি বলে সে এখনো আমাকে খ্যাপায়।