হাসি মাপার যন্ত্র ও ফর্মুলা অব লাফটার

হাসি মাপা

দুনিয়ার সবকিছু মাপা গেলে হাসি কেন মাপা যাবে না? জাপানের কানসাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমনই এক যন্ত্র তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে হাসি মাপা যায়। মানব শরীরে বসানো কয়েকটি সেন্সরের মাধ্যমে যন্ত্রটি হাসির পরিমাপ করে। হাসলে আমাদের বুক, পেট, হাতের মাংসপেশিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। এই কম্পন থেকেই সেন্সরগুলো নির্ধারণ করে আমার কতটা জোরে হাসছি। যন্ত্রটির মাধ্যমে হাসি পরিমাপের একককে ‘আহ’ বা ধঐ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। হাসির শুরুতে আমরা নাকি আহ বলে শব্দ করি। সে জন্যই হাসির এককের নাম এমন।

এই যন্ত্রের মাধ্যমে আসল হাসি আর নকল হাসিও শনাক্ত করা সম্ভব। আমরা যদি নকল হাসি দিই তখন আমাদের শরীরে কম কম্পন সৃষ্টি হয়। আর তাই দেখে যন্ত্রটি বলে দেয় কোনটি আসল হাসি আর কোনটি নকল।

সূত্র: সি নেট

হাসির সূত্র

গণিতবিদেরা অদ্ভুত হন। তাঁরা দুনিয়ার সবকিছুই সংখ্যা দিয়েই ভাবেন। এমনকি হাসি নিয়েও তাঁদের সূত্র আছে। মানুষ কেন হাসে, তা নিয়ে এক রুশ-মার্কিন গবেষক তৈরি করেছেন ‘ফর্মুলা অব লাফটার’ বা হাসির সূত্র। জোকস শুনে আমরা কেন হাসি তার গাণিতিক রূপ প্রকাশ করেছেন ইগর ক্রিসথাফোবিচ নামক এক গবেষক। তাঁর উদ্ভাবিত হাসির সূত্র হলো HE = PI x C/T + BM

এখানে, PI— ব্যক্তির অংশগ্রহণ। C—জোকসের জটিলতা। যত বেশি জটিল হয় তত বেশি হাসির উদ্ভব হয়। T—জোকস বোঝার সময়। যত বেশি সময়, তত বেশি দুর্বল হাসি। BM—জোকস বলার পরিবেশ। HE—হাসির প্রভাব। এই সূত্রের মাধ্যমে নাকি জোকস শুনলে আমরা কেন হাসি তা বোঝা যায়। ফলাফল যত বাড়ে ততই নাকি আমরা হাসি।

সূত্র: ওহ গিজমো