৩০ ফেব্রুয়ারি ১৭১২। সুইডেনে কেন এসেছিল এই তারিখটি?

৩০ ফেব্রুয়ারি বলে কিছু নেই, তবে সুইডিশ ক্যালেন্ডারে একবার ছিলছবি : গেটি ইমেজ

ক্যালেন্ডারে ২৮ দিনে মাস হয় শুধু ফেব্রুয়ারিতেই। এটিই সবচেয়ে ছোট মাস। তবে প্রতি চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯ তারিখও দেখতে পাওয়া। তখন সে বছরটিকে বলা হয় লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। তাই ক্যালেন্ডারে অন্য সব মাসে ৩০ তারিখ থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে দিনটি নেই, অর্থাৎ ৩০ ফেব্রুয়ারি বলে কিছু নেই। তবে একটি দেশে একবার শুধু এক বছরের জন্যই ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ দিন ছিল। দেশটি হলো সুইডেন। সে দেশে ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারিতে ৩০তম দিনের দেখা পাওয়া গিয়েছিল।

১৭১২ সালের সুইডিশ ক্যালেন্ডার
ছবি : সুইডিশ ন্যাশনাল আর্কাইভ

যে কারণে সে বছর ফেব্রুয়ারি ৩০ দিনের হয়েছিল

বহু বছর ধরেই পশ্চিমের বেশিরভাগ দেশ জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে তৈরি হওয়া জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার হয়ে আসছে। ওই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি চার বছরের প্রথম তিন বছর দিনের সংখ্যা ৩৬৫ এবং চতুর্থ বছর সে সংখ্যাটি হয়ে যায় ৩৬৬। ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আবির্ভাব ঘটান পোপ অষ্টম গ্রেগরি। তিনি মূলত কাজটি করেছিলেন মৌসুমের সঙ্গে ইস্টারের আরোও সঠিক মিল রাখার জন্য। তবে সুইডেন সঙ্গে সঙ্গেই এই পরিবর্তনটি করেনি। ১৭ শতকের শেষ দিকে তারা সিদ্ধান্ত নেয় সুইডিশ ও গ্রেগরিয়ান ক্যালন্ডারের পার্থক্য কমানোর জন্য ১৭০০ সাল থেকে ১৭৪০ সালের লিপ ইয়ারগুলো বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুইডেন সিন্ধান্ত বদলে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ব্যবহার ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। তখন তারিখের গড়মিল এড়াতে ১৭১২ সালে দুইটি লিপ ডে রাখা হয়। এই দিনগুলো ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ।

দেশটিতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার পুরোপুরিভাবে শুরু করে ১৭৫৩ সালে।

আরও পড়ুন