২০২৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ দ্যভোরে এবং জন এম মার্টিনিস পেয়েছেন এবারের নোবেল। তাঁদের কাজের মূল বিষয় হলো ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে শক্তির কোয়ান্টাইজেশন। সহজভাবে বলতে গেলে, এই তিন বিজ্ঞানী কোয়ান্টাম বলবিদ্যার অদ্ভুত ‘সুড়ঙ্গ প্রভাব’ বা টানেলিংকে এমন বড় পরিসরে পরীক্ষা করতে পেরেছেন, যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান।
কোয়ান্টাম জগৎ সাধারণত অত্যন্ত ক্ষুদ্র, যেমন একক ইলেকট্রন বা পরমাণু, যেখানে অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যগুলো ঘটে। তবে ক্লার্ক, দ্যভোরে ও মার্টিনিস একটি বিশেষ সুপারকন্ডাক্টর সার্কিট তৈরি করেন, যেখানে কোটি কোটি ‘কুপার পেয়ার’ একসঙ্গে এমন আচরণ করে, যেন একটি একক কণা। এই সার্কিটে তাঁরা দেখান, কুপার পেয়ারগুলো শূন্য ভোল্টেজ থেকে হঠাৎ ভোল্টেজ দশায় পৌঁছাতে পারে, ম্যাক্রোস্কোপিক স্কেলে টানেলিং ঘটে।
১৯৮৪–৮৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেতে এই পরীক্ষা চালানো হয়। জোসেফসন জাংশনের মাধ্যমে তিন বিজ্ঞানী শক্তি শোষণ ও নিঃসরণের ‘কোয়ান্টা’ পর্যবেক্ষণ করেন। এটি ইলেকট্রনের কক্ষপথ পরিবর্তনের মতো আচরণ করে, কিন্তু দৃশ্যমান জগতে। এই গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা শ্রোডিঙ্গারের বিড়ালের মতো ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম পরীক্ষা বাস্তবে করেন।