আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস: কীভাবে উদ্যাপন করব
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়িতে একটি করে বিড়াল পোষা হয়। সে দেশে কিছু বিড়াল স্ট্রে ক্যাট বা মালিকানা ছাড়া থাকে। তবে যেগুলো পোষা হয়, সেগুলো দারুণ স্নেহ পেয়ে জীবনযাপন করে। আমাদের দেশে ঠিক কত বাসাবাড়িতে বিড়াল পোষা হয়, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এর সংখ্যা কম নয়। আর মালিকানা ছাড়া বিড়ালের তো অভাব নেই। ধরে নেওয়া যায়, বাসাবাড়িতে বিড়ালগুলো বেশ যত্নেই থাকে। আর যে বিড়ালের মালিক নেই, সেগুলোও যত্ন এবং খাবার পাওয়ার অধিকার রাখে। বিড়ালের জন্য মমতা থেকেই এসেছে আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস। বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা থেকে এই দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
বিড়ালের প্রতি মমতা থেকে তুমি আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস উদ্যাপন করতে পারো। তবে বিড়ালের স্বভাব তো জানোই। কিছু বিড়াল ভাবতে পারে, প্রতিটি দিন ওদের জন্য উত্সর্গ করা উচিত। ওরা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একটু গম্ভীর হয়ে যায়। তুমি যদি একটি বিড়ালের মালিক হও, তবে বিড়ালের জন্য তুমি কিছু কাজ করতে পারো। কীভাবে এই দিনটি তুমি উদ্যাপন করবে, তা নিয়েই এই লেখা।
আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসের পাশাপাশি কিছু জাতীয় দিবসও আছে বিড়াল উদ্যাপনের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রে ২৯ অক্টোবর জাতীয় বিড়াল দিবস পালন করা হয়। বছরজুড়ে একাধিকবার এমন দিবস পালনের নজিরও আছে। এই দিনগুলোতে বিড়ালছানা আর বিড়ালকে উদ্যাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস কীভাবে এল?
আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস ২০০২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার (আইএফএডব্লিউ) চালু করে। ৮ আগস্ট এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিনটি পালনের কারণ, বিড়াল রেসকিউ বা উদ্ধার করা, বিড়ালের সংখ্যা রক্ষা করা, বিড়ালের সুরক্ষার জন্য কাজ করা এবং ওদের আবাসস্থল রক্ষা করা।
এই বিশেষ দিনটির লক্ষ্য বিড়াল নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো। মানুষ যেন বিড়াল এবং বিড়ালছানাকে রক্ষা করে এবং সহায়তা করতে পারে, এমন উপায় মানুষকে শেখানো এই দিনের একটি লক্ষ্য।
বিড়ালের জন্য তুমি যা করতে পারো
তুমি তোমার বিড়ালের জন্য একটি পার্টি দিতে পারো। তোমার বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত দিলে। বন্ধুরা তাদের বিড়াল নিয়ে এল। এ ছাড়া যেকোনো বিড়ালকে বিশেষ ট্রিট বা খাবার দিতে পারো। ভালো কিছু খেতে পেলে ওরা খুশিই হবে। বিড়ালের কাজে লাগে এমন কিছু কিনতে পারো। যেমন বিড়ালের জন্য একটা ঘণ্টি।
অনেক এনিমেল ওয়েলফেয়ার প্রতিষ্ঠান বিড়াল রেসকিউ করে। কিছু ক্যাট হোম আছে, যারা বিড়াল দত্তক দেয়। সেগুলো থেকে একটা বিড়াল রেসকিউ করতে পারো। এটা আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস পালন করার বেশ ভালো একটা পদ্ধতি। আবার তোমার কাছে যদি অতিরিক্ত বিড়াল ছানা থাকে, সেগুলোকেও দত্তক দিতে পারো। পোষা প্রাণীর দোকান থেকে কেনার পরিবর্তে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দত্তক নিতে অন্যদের উত্সাহিত করতে পারো।
বিড়ালের স্বাস্থ্য আর যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে অনলাইনে অনেক ভিডিও পাবে। কীভাবে একটি বিড়াল পালন করতে হয়, জানতে পারবে। বিড়ালের সুরক্ষা নিয়ে একটি ক্লাস করে ফেলতে পারো।
বিড়াল দিবসে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারো
ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফটো কনটেস্ট বা ছবি প্রতিযোগিতা খুব জনপ্রিয়। একটি বিড়াল দিবস ছবি তোলা প্রতিযোগিতা তুমি আয়োজন করতে পারো। তোমাকে যারা অনুসরণ করে এসব প্লাটফর্মে, তাদের সঙ্গে তোমার একরকম সম্পর্ক তৈরি হবে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।
অ্যালমো নেচার নামের একটি পোষা প্রাণীর খাবারের ব্র্যান্ড কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস উপলক্ষে একটি ছবি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসরণ করে তাদেরকে বিড়ালের ছবি শেয়ার করতে বলেছিল। ছবিটি পোস্ট করার পর নিজের দুইজন বন্ধুর অ্যাকাউন্ট রেফার করতে হবে। তুমিও এই বুদ্ধি অনুসরণ করতে পারো। এতে তোমার প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে পড়বে।
একটি হ্যাশট্যাগ তৈরি করতে পারো। নির্দিষ্ট কোনো চ্যালেঞ্জ দিলে বা থিম দিলে প্রতিযোগিতা আরও আকর্ষণীয় হবে। ফটো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে দিতে পারো বিড়ালের খাবার ও যত্ন নেওয়ার জিনিস উপহার।
বিড়ালকে ভালোবাসো। আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসের মূল কথা এটিই।