সংগ্রহ ও অনুবাদ: মো. সাইফুল্লাহ
১. খাটের ওপর জড়সড় হয়ে বসে আমার মেয়েটা বলল, ‘বাবা! আমার খাটের নিচে কে যেন বসে আছে!’ আমি ওর খাটের নিচে তাকালাম। খাটের নিচ থেকে আমার মেয়েটা বলল, ‘বাবা! আমার খাটের ওপর কে যেন বসে আছে!’
২. মুঠোফোনে পেলাম আমার একটা ঘুমন্ত ছবি। ঘরে আমি একাই থাকি।
৩. সে দেখল, দেয়ালে তার দুটো ছায়া। ঘরে বাতি জ্বলছিল একটাই!
৪. আমার বিড়ালটার চোখে সমস্যা, সে কখনো সরাসরি আমার দিকে তাকায় না। একদিন আবিষ্কার করলাম, সে আমার পেছনে কাকে যেন দেখে!
৫. ‘আমি ঘুমাতে পারছি না’ গলা জড়িয়ে ধরে কানের কাছে ফিসফিস করে বলল সে। ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম। কণ্ঠটা আমার মৃত স্ত্রীর!
৬. অতৃপ্ত আত্মাকে ভয় পেয়ো না। খাটের নিচে দেখো, আলমারির ভেতরে দেখো, ডানে-বাঁয়ে, সামনে-পেছনে দেখো। শুধু ওপরে তাকিয়ো না। কারণ, সে দেখা দিতে পছন্দ করে না!
৭. সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটির বর্ণনা লিখতে গিয়ে নার্স কাঁপা কাঁপা হাতে লিখলেন, ‘ওজন: ৩.৪ পাউন্ড। উচ্চতা: ১৪ ইঞ্চি। দাঁত: ৩২টি। সর্বক্ষণ হাসে।’
৮. এই মাত্র! আয়নার প্রতিবিম্বটি আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপল!
৯. ঘুমাচ্ছিলাম, পা দুটো কম্বলের বাইরে। পায়ের পাতায় টের পেলাম একটা ঠান্ডা হাতের স্পর্শ!
১০. জানালার বাইরে থেকে স্থির দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে লোকটা। আমি থাকি একটি অ্যাপার্টমেন্টের ১৪ তলায়।
১১. বোন বলল, মা তাকে খুন করেছে। মা বললেন, আমার কখনোই কোনো বোন ছিল না!
১২. কাচের ওপর টোকা দিলে যেমন শব্দ হয়, শব্দটা অনেকটা তেমন। প্রথমে ভেবেছিলাম জানালা, না, শব্দটা আসছে আয়নার ভেতর থেকে!
১৩. ঘড়িতে ১২টা বেজে ৮ মিনিট, আমার গলায় চেপে বসছে তার নখ, আরেক হাতে সে আমার চোখ খামচে ধরেছে।
১৪. ধড়মড় করে উঠে বসলাম। ওহ্, তাহলে স্বপ্ন ছিল! ঘড়িতে বাজে ১২টা ৬। আলমারির দরজাটা হঠাত্ খুলে গেল!
১৫. মাঝরাত। কম্পিউটারের মনিটরে আমি মাঝেমধ্যে তার ছায়া দেখতে পাচ্ছি। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, এখনো পেছনে তাকানোর সাহস পাইনি।
১৬. খাটে শুয়ে থাকা ছোট ভাই বিরক্ত স্বরে বলল, ‘ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলো না তো!’ সেকি, আমি তো পড়ার টেবিলে বসে পড়ছি!
১৭. ‘খোকা, এখানে এসো।’ রান্নাঘর থেকে ডাকলেন মা। পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। পেছন থেকে কে যেন কাঁধ খামচে ধরে বলল, ‘যাসনে খোকা, শব্দটা আমিও শুনেছি!’
১৮. এ কী! মাকড়সাটা কোথায় গেল?