ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভৌতিক গল্পের ব্যাখ্যা

অলংকরণ: তুলি
আমি ভূতের গল্প শোনার সঙ্গে সঙ্গে এর একটা বাস্তব ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। কারণ, আমি অতিপ্রাকৃত কোনো কিছু বিশ্বাস করি না। তাই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভৌতিক গল্প অর্থাৎ অণু গল্পগুলোর কিছু কিছু পরমাণু ব্যাখ্যা দিচ্ছি—

১. আমার যমজ মেয়ে। একজন খাটের ওপর আরেকজন খাটের নিচে।

২. অন্য কেউ অন্য ঘর থেকে এসে তুলে দিয়েছে। অথবা আমি অটো ক্যামেরা অন করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ছবি আপনা-আপনি তোলা হয়ে গেছে।

৩. ঘরে একটাই বাতি, কিন্তু লোক দুজন ছিল।

৪. আমার দিকেই তাকিয়ে ছিল। বাঁকা চোখে তাকায় বলে মনে হয়েছিল পেছনের দিকে তাকিয়ে আছে।

৫. আমার মৃত স্ত্রী আর বর্তমান স্ত্রীর কণ্ঠ একদম এক রকম।

৬. ওপরে তাকিয়ে দেখি কিছুই নেই। কারণ, অতৃপ্ত আত্মা বলে কিছু নেই।

৭. দাঁত নিয়ে অনেক শিশুই জন্মায়। আবার অনেক শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই হাসে। এগুলো বিরল কিন্তু অসম্ভব নয়। তা ছাড়া হাসি তো মৌলিক অধিকার। সবাই হাসতে পারে।

৮. কারণ, প্রতিবিম্বটির দিকে তাকিয়ে আমিও চোখ টিপেছিলাম।

৯. পা কম্বলের বাইরে, এমন সময় আমার ছোট ভাইটা পায়ে তার ঠান্ডা হাত দিয়ে কাতুকুতু দেয়।

১০. লোকটার বাসাও ১৪ তলায়।

১১. আমি একটু পাগল তো, আয়নার প্রতিবিম্বটাকেই আমার বোন ভাবতাম। ফাইন্ডিং নিমোর অ্যাকুরিয়ামের মাছের মতো।

১২. আয়নার অপর পাশ থেকে কেউ টোকা দিচ্ছে।

১৩. মানুষের দুটো হাত। একটা হাত দিয়ে গলা, আরেকটা দিয়ে চোখ ধরা কোনো ব্যাপার নয়। আর এত রাতে কাউকে খামচে ধরলে সে নিঃসন্দেহে চোর।

১৪. আলমারির দরজাটা ভালো নয়। ঠিক করতে হবে। সামান্য শব্দ হলেই খুলে যায়। আর আমার ধড়মড় করে উঠে বসায় যা শব্দ হলো!

১৫. কারণ, পেছনে তাকিয়েই দেখব এত রাত পর্যন্ত কম্পিউটার চালানোর জন্য আম্মু লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

১৬. ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে আমার বড় ভাই।

১৭. মা রান্নাঘর থেকে ডেকেছেন আর পেছন থেকে খামচে ধরলেন বাবা।

১৮. আশ্চর্য! মাকড়সাটা বসে থাকবে নাকি? সে তো চলেই যাবে। চলাফেরা তার মৌলিক অধিকার।

আরও পড়ুন