ভূতবিষয়ক গবেষণা
ভূতবিষয়ক গবেষণা আমার তো প্রায় শেষের দিকে
বাংলা বইয়ের বাগ্ধারাতে পাচ্ছি যেটা রাখছি লিখে!
লোকের মুখে প্রচলিত ভূতের যেসব গল্পগাথা
খুঁজতে গিয়ে দেখতে পেলাম নেই কোনোটার আগা-মাথা!
ভূত বিষয়ে যা জেনেছ, বেশির ভাগই ভরাট ভুলে!
ভূতের সঠিক তথ্য কি চাও? শুনতে থাকো কানটি খুলে!
ভূতের আকার বিশাল তো নয়, যা জানো তা ভাসা ভাসা
আকৃতিতে ছোট্ট বলেই শর্ষেদানায় ভূতের বাসা।
ওদের ভেতর কজন আবার ছাপাখানায় বসত গড়ে
প্রুফরিডারের চাকরি যাওয়ার মতন কিছু কাণ্ড করে!
এমনিতে ভূত অলস বসা, করবে না কেউ ক্ষতি কারও
ভূতের স্বভাব বদলে যাবে ঘড়ির কাঁটায় বাজলে বারো!
মাথার ওপর সূর্য যখন, মানে যখন দুপুরবেলা
আশেপাশে মানুষ পেলে ভূতরা মারে ধাক্কা–ঠেলা!
ভূতের স্মৃতি খুবই খারাপ, নাম ভুলে যায় সবার তারা
রামের নামই মুখস্থ তাই নাম জপে না রামের ছাড়া!
বুদ্ধিসুদ্ধি খুব বেশি নেই, বয়স যত ততই ভাটা
সারা জীবন ধরেই চলে তাই তো ভূতের বেগার খাটা!
সবাই কি আর বেগার খাটে! সবাই কলুর বলদ নাকি?
কয়েকটা ভূত খুব ফাঁকিবাজ, সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি!
নয়তো তারা গোবেচারা, নয়তো তারা সরলসোজা
এই কারণেই দেখতে পাবে ওঝার ঘাড়ে ভূতের বোঝা!
ভূতসমাজের বারোটি ভূত দেশ–বিদেশে বেড়ায় ছুটে
বারো ভূতেই আশেপাশের সবকিছু খায় লুটেপুটে!
লুটেপুটে খাওয়ার পরে অল্প কিছু জমলে টাকা
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ করে অন্য সময় কাঁদতে থাকা!
ভূতের জীবন সহজ তো নয়, কষ্ট করে থাকছে টিকে
ভূতবিষয়ক গবেষণা আমার তো প্রায় শেষের দিকে!