আইডি কার্ডে ছবিটা নেই!
রোজ-প্রতিদিন একই রুটিন ঘড়ির কাঁটায় ছোটা
ঘুমজড়ানো কুসুম ভোরে বিছনা ছেড়ে ওঠা।
‘ওয়াশরুমে যাও’
‘ব্রাশ করে নাও’
‘নাশতা রেডি প্লেটে’
‘জলদি করো, হর্ন বেজেছে, বাস দাঁড়িয়ে গেটে।’
চুল আঁচড়িয়ে টাইটা বেঁধে প্যারেড পিটির তালে
আজকে চুমু কপালে তো কালকে চুমু গালে।
জুতোর ফিতে বাঁধা হলেই ব্যাগটা পিঠে তুলে
দুরন্ত খরগোশের মতো, একছুটে ইশকুলে।
ইশকুলে আজ হয়নি যাওয়া, সময় গেছে চলে!
থমকে আছে ঘড়ির কাঁটা ভোর আসেনি বলে।
ইশকুলে আজ হয়নি ছুটি, মিস বলেনি টা টা
আগুনপোড়া আর্তনাদে বাজেনি ঘণ্টাটা।
জেট ফুয়েলের সেই যে আগুন, সেই যে আকাশ কালো
সেই নিশি আর ভোর হলো না, আর ফোটেনি আলো।
তীব্র আগুন ছড়িয়ে গেল ক্যানটিনে আর ক্লাসে
টিংকার বেল, স্পাইডার–ম্যান কেউ ছিল না পাশে।
ঘরটা এখন শূন্য খাঁ খাঁ, ভোরটা কেবল স্মৃতি
দুপুর হলেই বুকের ভেতর বিস্ফোরণের ভীতি।
চার দেয়ালে রঙের আঁচড় পড়ছে খসে খসে
দুপুর কাটে অপেক্ষাতে, এই বুঝি ফিরল সে।
বই-খাতা–ড্রেস, সব পুড়ে ছাই, ঝলসে গেছে আঁচে।
আইডি কার্ডে ছবিটা নেই, নামটা কেবল আছে।
সে নাম ধরে ডাকছি কত, দেয় না মানিক সাড়া
এক আগুনে সব পুড়ে শেষ, প্রাণপাখি হাতছাড়া।