আটা দিয়ে কিআ

প্রিয় কিআ,

আমার ছোট মেয়ে আরিশা আহ্সান, ক্লাস টুতে পড়ে। ও আপনাদের কিশোর আলোর ভয়াবহ ধরনের ফ্যান। যেদিন কিআ আসে, সেদিন তার নাওয়াখাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গোগ্রাসে সবকিছু পড়ে শেষ করে ফেলে। যেসব বিষয় বুঝতে পারে না, সেগুলো নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে। আজ সকালে রান্নাঘরে আটা দিয়ে রুটি বানানো হচ্ছিল। আরিশা ওখান থেকে একটুখানি আটা নিয়ে সোফার হাতলে কিআ লিখেছে। আমি ছবি তুলে পাঠালাম। কিশোর আলোর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

রফিকুল আহ্সান

কিআ: কী সুন্দর! আরিশাকে কিআর সবার পক্ষ থেকে অনেক ভালোবাসা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।

প্রিয় কিআ,

আমি আগেও তোমার কাছে চিঠি পাঠিয়েছি, কিন্তু তুমি ছাপাওনি। যা-ই হোক, আশা করি এবার ছাপাবে। মে মাসের (১০১তম) সংখ্যাটি অসাধারণ ছিল। আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মিত কিআ পড়ছি। কিন্তু এ পর্যন্ত মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কোনো গল্প বা উপন্যাস কিআতে দেখিনি, এবার দেখলাম! তিনি আমার প্রিয় লেখক। এ জন্য তোমাকে তো একটা ধন্যবাদ দিতেই হয়!

সাদ মুজাহিদ রুহান
পঞ্চম শ্রেণি, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা

কিআ: তোমার নামে কিন্তু স্যারের একটা বই আছে—রুহান রুহান—পড়েছ নিশ্চয়? না পড়লে পড়ে দেখো, দারুণ বই। মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনেক লেখাই কিআতে ছাপা হয়েছে, ‘টুনটুনি ও ছোটাচ্চু’ সিরিজটা তো কিআতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। আশা করি, ব্যস্ততা কমলে স্যার আবার লিখবেন তোমাদের জন্য।

প্রিয় কিআ,

ফিফটিইইইই! ভাবছ এভাবে চিল্লাচ্ছি কেন? মে মাসের কিআ কেনার মধ্য দিয়ে আমার ৫০টি কিআ কেনা হয়ে গেছে। তোমার হলো সেঞ্চুরি আর আমার হাফ সেঞ্চুরি। আমি চাই তুমি আমার এই চিঠি, পরের মাসের চিঠি এবং তার পরের মাসের চিঠিটা ছাপাও। আর কিআ আমি মোবাইল গেম তেমন একটা খেলি না, তবে মাইনক্রাফট আমার খুব পছন্দ। এটা নিয়ে কি কোনো লেখা ছাপানো যায়? ‘সাকিবের সাইকেল’ গল্পটা এককথায় দারুণ হয়েছে। প্লিজ কিআ, আমার টানা তিনটা চিঠি ছাপিয়ে দাও। আমার হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে। প্লিজ।

তাওসীফ আহনাফ
চতুর্থ শ্রেণি, হলি সোল কিন্ডারগার্টেন

কিআ: হ্যাটট্রিক করতে হলে পরপর তিনটি বলই কিন্তু দুর্দান্ত হতে হবে। তুমি যদি এ রকম দুর্দান্ত, অসাধারণ চিঠি পাঠাতে পারো, নিশ্চয়ই ছাপব। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

প্রিন্টিং মিসটেক! প্রিন্টিং মিসটেক! যাক, একটা অন্তত ভুল ধরতে পারলাম। আমার খুব শখ যে তোর একটা ভুল ধরে তোকে চিঠি লিখব আর তুই ভীষণ লজ্জিত হয়ে আমার চিঠিটা ছেপে দিবি। আচ্ছা, ভুলটা বলেই ফেলি। বিনোদন পাতায় ডক্টর স্ট্রেঞ্জ: ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস মুভির লেখার সঙ্গে পোস্টার হিসেবে দিলি ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস: দ্য সিক্রেটস অব ডাম্বলডোর মুভির পোস্টার। এ রকম আরেকটা ভুল করেছিস, ওটা তুই-ই খুঁজে নে।

এই হাস্যকর ভুল দেখে ‘মুভিপোকা মালিহা’ (এই নামেই তুই আমার একটা লেখা ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগে ছাপিয়েছিলি, মনে পড়েছে?) একদম বাক্‌রুদ্ধ। আমার মতো যারা তোর পাঠক আবার মুভিপোকাও, তারা তো গণপিটুনি দেবে তোকে। সুতরাং সাবধানে থাকবি। এ রকম ভুল যেন আর না দেখি।

মালিহা তাসনিম
নবম শ্রেণি, গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

কিআ: কী আর করব মালিহা আপা, সবই আসলে মাল্টিভার্সের খেলা। অন্য এক মাল্টিভার্স থেকে এসে কে যেন ছবিগুলো বদলে দিয়েছে। তবে দোষ তো আমাদের, মাল্টিভার্সের দরজা খোলাই উচিত হয়নি।