পুরোনো বইয়ের সঙ্গে বিক্রি হলো কিআ
প্রিয় কিআ,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছ। জানো, আমি একটুও ভালো নেই। কারণ, এবার আমি তোমাকে পড়তে পারিনি। তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন আমি তোমাকে পড়তে পারিনি। তাহলে, শোনো, আমদের বাসা পুরোনো বই–খাতা দিয়ে একদম ভরে গেছে। তাই আম্মু এগুলো বিক্রি করে দেওয়ার জন্য গুছিয়ে একপাশে রেখেছিল আর সেখানে তুমিও ছিলে। কিন্তু আমি তা জানতাম না। পরে বাবা ওগুলো বিক্রি করে দিল। এ নিয়ে আমি আম্মুর ওপর অনেক রাগ করি। এখন বুঝতেই পারছ, কেন পড়তে পরিনি। ভালো থেকো, বিদায়!
[বি.দ্র.: আমার মন ভালো করার জন্য চিঠিটা ছেপে দিয়ো। আর হ্যাঁ, আমি জানি চিঠিটা অনেক বড় আর অগোছালো হয়েছে, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো]
তাহাররুন বিনতে রশিদ
আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: আহহা! খুবই দুঃখজনক। কোথাকার কিআ কোথায় চলে গেল! সমস্যা নেই, নিশ্চয়ই পুরোনো বইয়ের দোকানেই যাবে। তবে ভাগ্য খারাপ হলে ঠোঙার দোকানেও চলে যেতে পারে। হয়তো স্কুল শেষে ঝালমুড়ি খেতে গিয়ে দেখবে ঝালমুড়ির ঠোঙাটা তোমার কিআরই কোনো পাতায় তৈরি। হয়তো চিনতেই পারবে না... এ নিয়ে মন খারাপ কোরো না। তবে এই কিআটা সাবধানে রেখো। ভালো থেকো।