কী যে খুশি হলাম, তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না
প্রিয় কিআ,
একদিন একটা অপরিচিত নম্বর থেকে আমার কাছে একটা কল এল। কল ধরার পর ফোনের ওপাশ থেকে কে যেন বলল, ‘হাই, তুমি কি নাভা বলছ?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। আপনি কে? তিনি বললেন, ‘আমি কে, তুমি চিনবে না। তবে আমি কিআর অফিস থেকে বলছি।’ শুনে তো আমি অবাক। তিনি আরও বলতে থাকলেন, ‘এই মাসে দেখলাম তুমি কিআতে চিঠি পাঠিয়েছ এবং সব কটি কুইজের উত্তরও পাঠিয়েছ। তোমার সব কটি কুইজের উত্তরই আমরা সিলেক্ট করেছি এবং সব কটির জন্যই তুমি গিফট পাবে। ওহ, আরেকটা কথা, আমার কল পাওয়ার পর যদি কোনো চিঠি লেখো কিআতে, তবে সেটাও ছাপা হবে।’ তাঁর এসব কথা শুনে উত্তেজনায় তো আমি বলেই ফেললাম, আপনি সত্যি বলছেন? তাহলে প্রমিজ করেন আমার চিঠি কিআতে ছাপাবেন। তিনি বললেন, ‘আচ্ছা, প্রমিজ, ছাপা হবে।’ এটা বলে তিনি কল কেটে দিলেন। কল কাটার পর যখন আমি বুঝলাম কী হয়েছে, তখন কী যে খুশি হলাম, তা তোমাকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কিন্তু একি! ঠিক তখনই আম্মু আমাকে একটা ধাক্কা দিয়ে বলল, ‘কিরে, ঘুমের মধ্যে এভাবে হাসছিস কেন?’ আমি আম্মুকে বললাম, আম্মু, কিআর অফিস থেকে কল এসেছিল। আম্মু আমার কথা পুরোপুরি না শুনেই বলল, ‘সারা দিন কিআ কিআ করলে এমনই হবে। হাত-মুখ ধুয়ে নাশতা খেতে আয়।’ যখন বুঝলাম পুরো ব্যাপারটাই আমার স্বপ্ন, তখন আমার কী যে মন খারাপ হলো, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আরও মন খারাপ হবে যখন দেখব এ মাসেও আমার চিঠি ছাপা হয়নি। তাই বলি, বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে আমার চিঠিটা ছেপে আমাকে খুশি করো। সামনে আমার বৃত্তি পরীক্ষা। ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। নিজের প্রতি খেয়াল রেখো। টা টা।
ফাইজা জাহান নাভা
অষ্টম শ্রেণি, নান্দাইল পাইলট গার্লস হাইস্কুল, ময়মনসিংহ
কিআ: যাক, স্বপ্নে দেওয়া একটা প্রমিজ তো সত্যি হলো। কী বলো? তোমার বৃত্তি পরীক্ষা খুব ভালো হোক। ঠিকমতো প্রস্তুতি নাও। আবার কথা হবে।