লেখালেখি নিয়ে একটা সংখ্যা বের করো
প্রিয় ক্রূর কিআ,
সম্বোধনটা খুব যৌক্তিক। আমার ক্ষেত্রে তুমি কিছুটা ক্রূর বটে! তবে দিন শেষে কিশোর আলো নামটা আমার কাছে সদা জাজ্বল্যমান। আমি জানি, নিত্যনতুন আবদারের জনস্রোতে তোমার নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়। তুমি পরিশ্রমী, এটাও জানি। কিন্তু মস্তিষ্কে হতাশার পিঁপড়া আলতো করে হুল ফুটিয়ে দেয় যখন, আমি তখন উপলব্ধি করি, আমার করা প্রতিটি আবদার তুমি সযত্নে ডাস্টবিনে ফেলে দাও। আগেরবারের মতো অনর্থক হুমকি দেব না। শুধু জেনে রাখো, আমার খুব ম্রিয়মাণ লাগে। আচ্ছা থাক, বিষাদটাকে না হয় আপাতত শিকেয় তুলে রাখলাম। কেমন যেন ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মতো লাগছে। সে যাকগে, বই পড়া নিয়ে তুমি সংখ্যা প্রকাশ করছ জেনে কী যে ভালো লাগে! আচ্ছা কেমন হয়, লেখালেখি নিয়ে একটা সংখ্যা বের করলে? বেশ হয় কিন্তু! সেখানে থাকতে পারে লেখালেখি নিয়ে বিভিন্ন টিপস, ‘নিজেকে জানো’ বিভাগে থাকতে পারে আমরা লেখক হওয়ার যোগ্য কি না, বিভিন্ন ঔপন্যাসিকের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত। যাহোক, সবকিছুর কম্বিনেশনটা তুমিই ভালো করতে পারবে। এদিকে সৃষ্টিকর্তাই জানেন যে আমার আইডিয়াটাকে ঠুনকো মনে করে তুমি আবার কিআ কার্যালয়ের বাইরে ফেলে আসো কি না! লেখালেখিতে আগ্রহী নয়, বই পড়ে না—জড় বস্তুর একটু অসুবিধা হতে পারে ওই সংখ্যায়। তবে বিশ্বাস করো, আমি মনে করি, তোমার বদৌলতে প্রত্যেক কিআ পাঠকই তার আগ্রহের বাইরের বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী হচ্ছে। আপন করে নিচ্ছে অন্যের মতামত। ‘পরমতসহিষ্ণুতা’ নামক মূল্যবোধটা তো তোমার কাছেই শেখা। পরিশেষে একটাই স্থায়ী চাওয়া, ভালো থেকো। কেননা তুমি ভালো না থাকলে আমরাও নেতিয়ে পড়ি যে!
[বি.দ্র. যদিও তোমার কাছে আইডিয়াটা অবলা, তবু আমার ভাগ্য যদি প্রসন্ন হয় তবে প্রকাশিত সংখ্যায় কথাসাহিত্যিক হান কাংকে নিয়ে লিখতে ভুলো না কিন্তু!]
ইচ্ছা
অষ্টম শ্রেণি, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম
কিআ: খুবই সুন্দর লিখেছ। কথা দিচ্ছি, তোমার ইচ্ছা পূরণ হবে। লেখালেখি নিয়ে আমরা আগেও সংখ্যা করেছি। কিন্তু তুমি যেভাবে গুছিয়ে লিখেছ, তোমার সম্মানে আবারও লেখালেখি নিয়ে সংখ্যা না করলে অন্যায় হবে। অনেকগুলো আইডিয়া দিয়েছ তুমি। কয়েকটা কিন্তু তুমি নিজেই লিখে পাঠাতে পারো। তুমি ভালো লেখো, এটা তোমার কাছে কোনো ব্যাপারই না। ভালো থেকো।