পুরোনো বন্ধুর চিঠি

প্রিয় কিআ,

আমি এই পাতলাপুতলা ম্যাগাজিনের দস্তুরমতো পুরোনো পাঠক। গত ১২ বছর ধরে আমি এর পাতা ওলটাচ্ছি। ছোটবেলায় পেছনের পাতার কমিকসের জন্য এই ম্যাগাজিনকে কোনো জহরতের চেয়ে কম মনে হতো না। কিন্তু কৈশোরে পা দেওয়ার পর সেটা ছোটখাটো একটা আলাউদ্দিনের চেরাগে রূপ নিল, যার স্পর্শে বহুদিন ধরে কল্পনা করা চিঠি পাঠানোর ইচ্ছা পূরণ হয়ে গেল। নিজের আবেগ-অনুভূতিকে লিখে প্রিয় বন্ধুকে চিঠি পাঠানোর অনুভূতিটা কিআ না এলে কখনো জানাই হতো না। হাল জমানার ই-মেইলের কল্যাণে ব্যক্তিজীবনে চিঠির মর্ম কমে গেছে। এখন চাপে পড়ে তুমিও অমন ধারা চালু করলে কেমন হবে, শুনি? যদি এমন ট্র্যাজেডি হয়, তাহলে যে প্রীতম হাসানের গান উল্টে ভেঙে পড়তে হবে এভাবে! আর আমার পাঠক বন্ধুরা, তোমরা কিন্তু চিঠি কুরিয়ার করতে পারো, সেটা তুলনামূলকভাবে সহজ। আশা করি, আমার মিষ্টি কথায় তোমার চিড়ে ভিজেছে। তবে চলি, কেমন! ভালো থাকবে, হে।

ফাবিহা হামিদ

বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

কিআ: ওপরের ছবিটা দেখো, এটা তোমাদের চিঠি নিয়ে বসার সময় আমার ডেস্কের ছবি। ফলে বুঝতেই পারছ, আমাদের কাছে চিঠির মর্ম কমেনি। ফলে চিঠি চলুক।

আরও পড়ুন