বড় হয়ে আমি রুশ এম্বাসিতে কাজ করতে চাই
প্রিয় কিআ,
আমি তোমার অনেক প্রাচীন একজন পাঠক। মানে বলতে গেলে একদম ২০১৭ সাল থেকে পড়ি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে আমার একজন কাজিন আমার হাতে তোমাকে দিয়েছিল। এখন কাভারটা মনে আছে, একটা ছক্কা মারার দৃশ্য। তবে তোমার কাছে লেখা এটি আমার প্রথম চিঠি। আগে কখনো লেখার সাহস পাইনি, এখন লিখছি। তখন ছিলাম ৭, এখন আমি ১৩। আমার ফিজিকস ও ডিপ্লোমেসিতে অনেক ঝোঁক আছে। আমি রুশ বলতে পারি। বড় হয়ে আমি রুশ এম্বাসিতে কাজ করতে চাই। আমি ফিজিকস নিয়ে একটা দেয়ালপত্রিকা করছি বন্ধুদের সঙ্গে। তোমার কাছে আজ্ঞা এই যে তুমি আরও ফিজিকস নিয়ে প্রচ্ছদ ছাপবে। দয়া করে আমার স্কুলের ছাত্রদের নাম আরও ছাপবে।
দয়া করে এই চিঠিটা ছেপো, আমি ভবিষ্যতে আরও লিখব।
মুত্তাকী ভূঞা আহিয়ান
অষ্টম শ্রেণি (২০২৪), সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
কিআ: কঠিন বিষয় নিয়ে প্রচ্ছদ রচনা করতে বললে। এমনিতেই আমি ফিজিকস ভয় পাই। ফিজিকসের ঠিক কোন কোন বিষয় নিয়ে প্রচ্ছদ রচনা চাও তুমি, সেটা জানলে ভালো হতো। তারপরও আমরা ভেবে দেখব। তোমার আরেকটা প্রিয় বিষয় কূটনীতি (ডিপ্লোমেসি) নিয়েও লিখব। রুশ ভাষায় কিন্তু অসাধারণ সব গল্প, উপন্যাস আছে। তুমি যেহেতু রুশ বলতে পার, ধরে নিচ্ছি পড়তেও পারবে। পারলে আমাদের সেসব গল্প অনুবাদ করে পাঠাতে পারো। একট গোপন তথ্য দিই, কিআর অনেকেই কিন্তু তোমার স্কুলের সাবেক ছাত্র। দেখা হলে গলা মিলিয়ে গাইব... আমরা যোসেফাইট... যোসেফাইট আমরা...!
প্রিয় কিআ,
আগের দুটি চিঠি ছাপাওনি বলে আমি কিন্তু মন খারাপ করিনি। কারণ, আমি জানি চিঠি না ছাপালেও তুমি আমার চিঠি ঠিকই পড়েছো। আচ্ছা তোমার পছন্দের ঋতু কোনটা? আমার বসন্তকাল। এই শীতে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যেয়ো না।
সাজিয়া শাহরিন
একাদশ শ্রেণি, বিসিআইসি কলেজ, ঢাকা
কিআ: প্রতিটি ঋতুরই আলাদা মজা আছে। তবে সব মিলিয়ে শীতকালটা খুব ভালো লাগে আমার। কিন্তু এ বছর তো এখন পর্যন্ত শীতের দেখাই পেলাম না। মনে হচ্ছে আমাকেও তোমার দলে ভিড়ে যেতে হবে। কী বলো?
প্রিয় কিআ,
ভাবছি প্লাস্টিক বিশেষ করে পলিথিনের ব্যবহার কমাতে উদ্যোগ নেব। কারণ, সবাই এখন গণহারে পলিথিন ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে পরিকল্পনাও করে ফেলেছি। ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে তোমার সাহায্য লাগবে। তোমার দায়িত্ব, প্লাস্টিক কীভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণ এবং কীভাবে এর ব্যবহার কমানো যায়, তা নিয়ে কিআ পাঠকদের সচেতন করা। একটা ফিচার ছাপলে আরও খুশি হব। কারণ, ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’—তাই না?
সামিয়া শওকত
নবম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: অবশ্যই। আমাদের জাগতে হবে। খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছ তুমি। আমরা বেশ কয়েকবার জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা (গ্লোবাল ওয়ার্মিং), প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে ফিচার ছেপেছি। নিয়মিতই ছাপব। তুমি তোমার পরিকল্পনার কথাগুলো জানাতে পারো। তাহলে আমরাও সে অনুযায়ী কাজ করতে পারব। ভালো থেকো।