প্রিয় কিআ,
একদিন আমি আম্মুর সঙ্গে জ্যামিতি করছিলাম। যখন সমকোণী ত্রিভুজ আঁকার চেষ্টা করলাম, দেখলাম বেশ কঠিন। কম্পাস দিয়ে ৯০ ডিগ্রি কোণ আঁকতে হবে। খুব ঝামেলা। জ্যামিতি বক্সের কম্পাস খুবই নড়ে। তাই একটা আলাদা কম্পাস কিনতে হয়েছে। যদি ৯০ ডিগ্রি চাঁদা দিয়ে মাপতে হয়, তাহলে কম্পাস দিয়ে কেন আঁকব? আম্মুকে বললাম যদি চাঁদার প্রত্যেক ডিগ্রিতে একটা করে ফাঁক থাকত তাহলে তো ভালোই হতো। কম্পাস লাগত না। কষ্ট হতো না।
আমি ভাবলাম বড় হয়ে জ্যামিতি বক্স বানাব। যেখানে কাজের জিনিস থাকবে। যেমন দুইটা পেনসিল, চাঁদার ভেতরে ফুটো, ভালো কম্পাস (যেটা নড়ে না) এবং বাকি যেগুলো জিনিস প্রয়োজন।
জ্যামিতি বক্সের কিছু কিছু জিনিস থাকে যেগুলো আসলে কী জন্য থাকে আমি জানি না। যদি এবিসিডি বা আঁকিবুঁকি যেমন ফ্লানেল আঁকা, টেস্টটিউব আঁকা—এগুলোর জন্য কিছু দিতেই হয়, তাহলে আরও ইন্টারেস্টিং কিছু আঁকার জিনিস দেওয়া যেতে পারে। আমি বিভিন্ন শ্রেণির জন্য পৃথক জ্যামিতি বক্স বানাব। তৃতীয় থেকে নবমের জন্য একরকম আলাদা জ্যামিতি বক্স। আর দশম শ্রেণিরটা হবে আলাদা। কোম্পানির নামও ভেবেছি—মারিয়াম জ্যামিতি বক্স কোম্পানি।
নুহা মারিয়াম
তৃতীয় শ্রেণি, সরকারি প্রমথনাথ (পিএন) বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রাজশাহী
কিআ: দারুণ! তোমার কোম্পানি চালু হলে আমি জ্যামিতি বক্স কিনব।
প্রিয় কিআ,
এটা কিআতে পাঠানো আমার দ্বিতীয় চিঠি। ছাপবে কি না জানি না। তবে চশমা সংখ্যা কবে ছাপবে? জানতে পারি কি?
মনিরা খানম
অষ্টম শ্রেণি, বাখরাবাদ গ্যাস আদর্শ বিদ্যালয়, কুমিল্লা
কিআ: অবশ্যই জানতে পারো। চশমা সংখ্যা ছাপা হবে ফেব্রুয়ারি মাসে।
প্রিয় কিআ,
খুবই ভালো লাগল এবারের সংখ্যাটা পড়ে। বিশেষ করে গুড্ডুবুড়া আর ‘আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল’ গল্পটা একদম ফাটাফাটি ছিল। উফ্! অনেক অপেক্ষায় ছিলাম গুড্ডুবুড়ার গল্পের জন্য। অবশেষে পেলাম, তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তার সঙ্গে লেখক আনিসুল হককেও। ধন্যবাদ! আর বিশ্বকাপের অন্য রূপ লেখাটা পড়ে অনেক খারাপ লাগল। বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ করতে করতে কত শ্রমিকে মৃত্যুই না হলো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটাই তো এখনো বলা হলো না। তুমি বিশ্বকাপে কোন দল সাপোর্ট করো? আমি আর্জেন্টিনা। আর তুমি একটা মুভি সংখ্যা কিন্তু করতেই পারো। আমি কিন্তু হরর মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করি। তাই পৃথিবীর সব মুভি পোকাদের পক্ষ থেকে বলছি, একটা মুভি সংখ্যা করো! আর তোমাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম, এ জন্য চিঠিটা আবার পাঠালাম। হ্যাপি নিউ ইয়ার। ভালো থেকো।
আইরিশ রহমান
স্টারলিট স্কুল অব ইংলিশ, ঢাকা
কিআ: তোমার ধন্যবাদ পৌঁছে গেছে লেখকের কাছে। মুভি নিয়ে ভালো আইডিয়া দিয়েছ। একটা মুভি সংখ্যা হতেই পারে। তুমিও লেখা পাঠিয়ো। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
ডিসেম্বর মাসের ‘টেলিভিশন’ গল্পটা অসাধারণ হয়েছে। ‘জেনে রাখো’ বিভাগটাও দারুণ হয়েছে। আমি কিআতে গল্প পাঠালে ছাপাবে? শীতকাল চলে এসেছে তাই নিজের খেয়াল রাখবে। আপাতত, আগামী জানুয়ারি সংখ্যার জন্য প্রচ্ছদ এঁকে পাঠালাম। হুবহু না ছাপালে অনেক অনেক কান্না করব।
ভালো থেকো।
নাজিফা জাহিন চৌধুরী
চতুর্থ শ্রেণি, চট্টগ্রাম রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম
কিআ: যাও, ছাপিয়ে দিলাম তোমার প্রচ্ছদ।