কিআর জন্য কেক

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

স্কুলে ঢোকার দু-তিন বছর পর তোমার সঙ্গে আমার পরিচয়। আর আজ আমার স্কুল ছাড়ার সময় হয়ে গেল (করোনা মহামারি না থাকলে এত দিনে স্কুল পেরিয়ে যেতাম)! কিন্তু এত দীর্ঘ সময়েও তোমাকে কখনো চিঠি লেখা হয়নি। আশা করি, আমার স্কুলজীবনের শেষ চিঠিটা তুমি ছাপাবে। জানো, আমি লকডাউনে জার্মান ভাষা শিখেছি, প্রচুর গল্পের বই পড়েছি, অনেক ছবি এঁকেছি। তোমার প্রতিটি সংখ্যা আমার কাছে আছে। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। এভাবে ভবিষ্যতেও আমার পাশে থেকো। ভালো থেকো। আর আমার জন্য দোয়া কোরো যেন এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারি।

বেহতারিন ইসরাত লগ্ন
এসএসসি পরীক্ষার্থী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা

কিআ: স্কুল ছেড়ে যাওয়ার সময়টা যে কী কষ্টের—কত স্মৃতি, কত আনন্দ-বেদনা। যত দিন যাবে, ততই স্মৃতিগুলো মনে পড়বে তোমার। অনেক শুভকামনা তোমার জন্য। স্কুল ছেড়েছ, কিন্তু কিআর সঙ্গেই থেকো। ‘আমি তো বড় হয়ে গেছি’ ভেবে আবার ভুলে যেয়ো না আমাদের। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ? আমি ভালো নেই। এ মাসেই পরীক্ষা। তাই সারা দিন শুধু পড়া আর পড়া। কোনো ব্রেক নেই। জীবন শেষ। এ মাসে তোমাকে পড়তে দেরি হবে। পরীক্ষা শেষ হলে তবেই না পড়তে পারব। মে সংখ্যাটা দারুণ ছিল। ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ রচনার জন্য আনিসুল হক স্যারকে কৃষ্ণচূড়ার শুভেচ্ছা, সঙ্গে এক বস্তা কাঁচামিঠা আম। ‘রইস মাস্টার’, ‘২৪৩০ সাল’, ‘দানব’ গল্পগুলোও দারুণ। ও হ্যাঁ, আইন নিয়ে লেখাটাও বেশ মজার ছিল। আচ্ছা, একটা চশমাসংখ্যা কোরো। তোমার আম কুড়ানো সুখের হোক।

মোহসিনা রাইসা
অষ্টম শ্রেণি, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা

কিআ: তুমি কি চশমা পরো? তুমি যেহেতু বললে, কিছু একটা তো করতেই হয়। এতে দেশের আপামর চশমা জনগোষ্ঠী তোমার কথা মনে রাখবে। তোমার পরীক্ষার জন্য অনেক শুভকামনা। পরীক্ষা খুব ভালো হোক। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমার কাছে এবারের সংখ্যাটি দারুণ লেগেছে। বিশেষ করে ‘সাকিবের সাইকেল’ গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল। এ রকম গল্প বাচ্চাদের অনেক কিছু শেখাবে। লেখককে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প লেখার জন্য। আর তোমাকেও ধন্যবাদ, তুমি না থাকলে আমরা এই সুন্দর গল্প পড়তেই পারতাম না। ‘সমুদ্রের গভীরে’ থেকে আমরা সমুদ্র সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু শিখতে পারব। ধন্যবাদ তোমাকে, এবারের সংখ্যায় আমি পছন্দের অনেক কিছু পড়তে পেরেছি। ভালো থেকো।

কেয়া
দশম শ্রেণি, সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল, টাঙ্গাইল

প্রিয় কিআ,

সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে কিআর একজন নতুন পাঠক যুক্ত হয়েছেন।

পাঠকটি এতই অত্যাচারী যে আমাকে এবার কুইজের উত্তর পাঠতে দেননি। তুমিই বলো, এটা কোনো কথা? মাত্র ৭ বছরের একটা বাচ্চার জন্য ১৪ বছরের একটা ছেলের কুইজ পাঠানো বাদ যাবে? কিন্তু শত হোক, শৈশব রাঙানোর জন্য ওর মতো একটা বোনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাই আমার নামের সঙ্গে ওর নামটাও ছেপে দিয়ো (যদি ছাপো আরকি)। গত মাসের ফাটাফাটি সংখ্যার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভালো থেকো।

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই চিঠি না ছাপালে অ্যানিমের পিচ্চিদের মতো শ্বাস বন্ধ করে মুখ ফুলিয়ে রাখা হবে বলে বলা হচ্ছে।)

মাইসারা মালিহা ও মুহিবুর রহমান
ভোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ভোলা

কিআ: নতুন পাঠককে শুভেচ্ছা (শুভেচ্ছা না দিলে যদি অ্যানিমের পিচ্চিদের মতো শ্বাস বন্ধ করে মুখ ফুলিয়ে রাখে!)। কুইজের উত্তর না পাঠিয়ে একটু না হয় বোনের জন্য ত্যাগ করলে। কথায় আছে, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।

প্রিয় কিআ,

তোমাকে যত পড়ি, ততবার মনে হয়, কিআ কেন প্রতিদিন আসে না। তোমার গল্পগুলো অসাধারণ। তোমাকে আমি কয়েকটা চিঠি পাঠিয়েছি, কিন্তু তুমি কোনোটাই ছাপাওনি। আমার বন্ধুরা বলে, আমি বড় হয়ে গেছি, তাই তুমি আমার চিঠি ছাপাবে না। সত্যি কি তা-ই? ও হ্যাঁ, তোমার ১০১তম সংখ্যার জন্য তোমার একটি উপহার আছে। আমি মোটামুটি কেক বানাতে পারি। তাই তোমার জন্য আমি একটি কেক বানিয়েছি। কেমন হয়েছে বলবে কিন্তু।

মিফতাহুল
নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা

কিআ: খুব সুন্দর হয়েছে তোমার কেক। দেখতেই যা সুন্দর, খেতে না জানি কত মজা হবে! দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে! যারা বলেছে তুমি বড় হয়ে গেছ বলে চিঠি ছাপা হয় না, তাদের কেক খেতে দেবে কি না, একবার চিন্তা করে দেখো (খেতে দিয়ো, বন্ধু তো)। ভালো থেকো।