উত্তর: প্রথমত, মনে রাখবে আত্মহত্যা কোনো ঘটনার সমাধান নয়। তাই আত্মহত্যার চিন্তার বদলে নিজের মনের যত্ন নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়েই তোমাকে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এক বছর আগে তোমার সঙ্গে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গিয়েছিল, সেটার জন্য তুমি মোটেও দায়ী নও। তাই সেই ঘটনাটি নিয়ে তুমি কখনোই কোনো অপরাধবোধে ভুগবে না। আর তুমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষিকা আর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো কাজ করেছ। তবে তোমার যে বন্ধু বিষয়টি নিয়ে তোমাকে বিব্রত করে, তাকে বলো যে বিষয়টি এভাবে বলা তুমি পছন্দ করছ না। বরং বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে তুমি এই হ্যারেজমেন্টের বিষয়ে আরও অনেককে সচেতন করে তুলতে পারো। কীভাবে নিজেকে হ্যারেজমেন্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে তুমি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিয়ে অপরকে সচেতন করতে পারো। বিষয়টি নিয়ে তোমার মা-বাবার সাহায্য নাও। তাঁদের ঘটনাটি বুঝিয়ে বলো—তাঁদের ভয় পাবে না। আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি, আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। বরং নিজের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলো। নিজেকে প্রকাশ করো। তবে বারবার যদি আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসতে থাকে, তবে কোনো মনোরোগ–বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারো।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।