উত্তর: প্রথমত, তোমার বন্ধুর বাইপোলার ডিজঅর্ডার আছে কিনা, তা কেবল তোমার লক্ষণ শুনে মিলিয়ে নিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। একই লক্ষণ একাধিক রোগের ক্ষেত্রে হতে পারে। তাই তোমার বন্ধুকে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। অনলাইনের চেয়ে সরাসরি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ বা কাছের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। মনে রাখবে, মুখে মুখে শুনে, ধারণা করে বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো রোগ নির্ণয় করা যাবে না। আর বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মূল চিকিৎসা ওষুধ ও নিয়মিত ফলোআপ। তাই তুমি ও তোমার বন্ধু নিয়মিত ফলোআপে থাকবে। ঘরোয়াভাবে ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত থাকার জন্য মনের যত্ন নিতে হবে। রাত জাগা বাদ দিতে হবে। কোনো অজুহাতে যেমন পড়ালেখা বা গেম খেলার জন্য রাত জাগা চলবে না। দিনের বেলা সক্রিয় থাকতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। শারীরিক খেলাধুলা করতে হবে। সময় করে বন্ধু ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, আড্ডা দিতে হবে। নিয়মিত বই পড়তে হবে। গান শোনা বা গাওয়া মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। বাইপোলার ডিজঅর্ডারে যাদের ডিপ্রেশন হয়, তাদের কখনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞর মতামত ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না। নিয়মিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের ফলোআপে থাকা জরুরি।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।