আমি অল্পতে রেগে যাই

প্রিয় মনোবন্ধু,

আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। সারাক্ষণ ঘরে থাকি। বাবা–মা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাননি এখনো। এমনকি কোনো আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও যেতে দেন না। যখন শুনি, কেউ তার দাদাবাড়ি বা নানাবাড়ি এক সপ্তাহ ঈদের ছুটি কাটিয়েছে, তখন মন খারাপ হয়ে যায়। আমার দাদা-দাদি, নানা-নানি কেউ বেঁচে নেই দুই বছর হলো। আমার একমাত্র ভাইয়া (আমার চেয়ে ১২ বছরের বড়) এমন কোনো ট্যুরিস্ট স্পট নেই যেখানে যায়নি। আব্বু–আম্মুকে কাছে কোথাও নিয়ে যেতে বললে রাজি হন। কিন্তু যাওয়ার দিন এলে বলেন অন্য কথা। এমন বন্দী থাকার ফলে আমি অল্পতে রেগে যাই। শারীরিক জটিলতাও দেখা দিচ্ছে। আমি এখন কী করব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

উত্তর: আমার এই লেখা তোমার মা–বাবাকে দেখাবে। তাঁদের বলবে, একজন শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি চারপাশের মানুষ আর পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন আছে। তবে একটি কথা মনে রাখবে, তোমার ভাই ১২ বছরের বড়, তাই সে যেভাবে যত জায়গায় যেতে পারে, সেসব জায়গায় যেতে হলে তোমাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ঘরে একা থাকতে থাকতে তোমার মনের ওপর চাপ বাড়তে পারে, সামাজিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে, কখনো বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে। তাই মা, বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যে অবশ্যই বেড়াতে যাবে।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।