আমাকে বোঝার মতো কেউ নেই

প্রিয় মনোবন্ধু,

আমার সমস্যাটা মনে হয় আর পাঁচজন কিশোর-কিশোরী থেকে ভিন্ন। আমার জীবন সমস্যায় ভরা। আমার মা-বাবার মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। তাঁদের ঝগড়া আমার ওপর প্রভাব ফেলে। এটা আমি তাঁদের অনেকবার বোঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁরা আমাকে সব বিষয় নিয়ে দায়ী করেন। ছোটবেলা থেকে আমার ঘোরাঘুরির অনেক শখ। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাননি। আমার মানসিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমি বেশ মোটা। কিন্তু সে জন্য আমার খাদ্যাভ্যাস দায়ী নয়। আমি দেখতেও তেমন ভালো নই। এ নিয়ে আমার সহপাঠীরা হাসাহাসি করে। সত্যি কথা বলতে, আমাকে বোঝার মতো কেউ নেই। আমি হয়তো এখানে সব খুলে লিখতে পারছি না, কিন্তু বিশ্বাস করো, আমার অবস্থা খুবই শোচনীয়। আমি কী করব?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

উত্তর: প্রথমত, মোটা বলে মন খারাপ করবে না তুমি। তুমি লিখেছ তুমি দেখতে ভালো না, এটাও একটা ভুল বিশ্বাস। প্রত্যেকে তার নিজের মতো করে সুন্দর। মানুষের আসল সৌন্দর্য তার আচরণে, চেহারায় নয়। তোমার যেহেতু ঘোরাঘুরির শখ, তুমি তোমার বয়স অনুযায়ী যেসব জায়গায় ঘুরতে যেতে পারো, সেখানে বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে বেড়াতে যাবে। সেখান থেকে ঘুরে এসে কিআতে তোমার ঘোরাঘুরির লেখাটি পাঠিয়ে দিয়ো। সেটি ছাপা হোক বা না হোক। লেখাটি লেখার পরেই দেখবে তোমার মন অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। মা-বাবার সম্পর্ক যেমনই হোক, তোমার দায়িত্ব হবে তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা, তাঁদের মান্য করা এবং সময় দেওয়া। সহপাঠীদের হাসাহাসিকে পাত্তা না দিয়ে তুমি তাঁদের প্রশংসা করতে শুরু করো। প্রথম দিকে কষ্ট হলেও পরের দিকে দেখবে, তোমার কাছে প্রশংসা শুনে তাঁরা নিজেরাও নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করেছেন। তুমি পড়ালেখায় মন দাও, নিজের ভেতরের শক্তিগুলো জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করো।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।