আমার মা আমাকে সন্দেহ করেন

ইদানীং অনেক সমস্যায় ভুগছি আমি। গত কয়েক মাস প্রচুর সময় ব্যয় করেছি ফেসবুকে। এ কারণে আমার পরীক্ষার ফলও খারাপ হয়েছে। কিন্তু এখন আর ফেসবুক ব্যবহার করি না আমি। তা-ও আমার বোনেরা এবং আমার মা আমাকে সন্দেহ করেন। আমাকে নিয়ে আন্দাজেই নানা কথা বলেন তাঁরা। অযথা সন্দেহ করেন। আমি যতই তাঁদের বোঝাই, তবু তাঁরা আমার কথা বিশ্বাস করেন না। তাঁরা আমাকে এতই সন্দেহ করেন যে আমাকে প্রাইভেট পড়তে পর্যন্ত যেতে দেন না। ফলে আমার লেখাপড়ারও ব্যাঘাত ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি এ বিষয় নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনাও করতে পারছি না। পরিবারের প্রায় সবাই আমার সঙ্গে এমন করছে। আমাকে একটা সমাধান দাও মনোবন্ধু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

উত্তর: অকারণে সন্দেহ করা হলে খারাপ তো লাগবেই। এখন বোন ও মাকে তুমি বুঝিয়ে বলো যে তাঁরা যা ভাবছেন তা মোটেই সঠিক নয়। তাঁরা যদি মুখে বলার পরও না বোঝেন, তবে তাঁদের এটা বিশ্বাস করাতে হবে। আর সেটা প্রমাণ করতে হবে তোমার আচরণ দিয়েই। তুমি যে ফেসবুক ব্যবহার করছ না বা কমিয়ে দিয়েছ এবং এ জন্য যে তুমি মোটেই মন খারাপ করোনি, তা তাঁদের জানাও। তাঁদের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটাও। তাঁরা যদি দেখেন যে তুমি সব সময় তাঁদের সঙ্গেই আছো, তখন আর তাঁরা তোমাকে সন্দেহ করবেন না। এ জন্য একাকী থাকা বন্ধ করো। ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকবে না। প্রয়োজনে পরিবারের কাউকে সঙ্গে নিয়ে কোচিংয়ে যাও। অযথা রাগ করবে না। ধুমধাম শব্দ করে ঘরের দরজা বন্ধ করবে না, অযথা রাত জাগবে না, কারও সঙ্গে রাগারাগি করবে না। নিয়মমতো স্কুলে যাবে আর সময়মতো খাবে। এতেই তোমার বোন ও মায়েরা তোমার প্রতি তাঁদের ভুল ধারণা থেকে মুক্ত হবেন।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।