উত্তর: তোমার দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তর আগে দিচ্ছি। মনে রাখবে, আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। তোমার মনের ভেতর আত্মহত্যার চিন্তা এলে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি বড়দের জানাও। যেহেতু তোমার বয়স ১৮ হয়ে গেছে, তুমি চাইলে নিজেই কাছের কোনো মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগ বা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারো। কোচিংয়ের সঙ্গে কোথাও চান্স পাওয়ার সম্পর্ক প্রমাণিত নয়, এমনকি কোচিংয়ে খুব ভালো নম্বর পেয়েও অনেকে চান্স পায় না, আবার অনেকে কোচিং না করেও চান্স পেয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মেডিকেলে ভর্তি হওয়াই জীবনের সারকথা নয়, তুমি অন্য যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হয়ে যদি বিষয়টি ঠিকমতো নিজের পেশায় বা জীবনে কাজে লাগাতে পারো, সেটাই সার্থকতা। তাই ফলের আশা না করে তুমি নিয়ম মেনে পড়ে যাও, সামন ভালো কিছু আসবেই।
এবার আসি নবম শ্রেণির ঘটনাটিতে। যদিও সেটি এখন মিটে গেছে, তবে মনে রাখবে, এটি তোমার জীবনের এমন একটি অভিজ্ঞতা, যা তোমাকে ভবিষ্যতের বড় বড় বিপদ থেকে রক্ষা করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় আরও সতর্ক থাকবে, ব্যক্তিগত ছবি নিরাপদে রাখবে। আর চাইলে তুমি সাইবার অপরাধের আলোকে আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারতে। বন্ধুকে ক্ষমা করে দিতে পারাই তোমার মহত্ত্ব, তবে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবে। মনে রাখবে, এ ঘটনায় তোমার কোনো দোষ নেই, তাই অহেতুক মন খারাপ না করে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলো।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।