আমি জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষাটা খুব ভালোও হয়নি, আবার খুব খারাপও হয়নি। বলতে গেলে মোটামুটি পরীক্ষা দিয়েছি। ক্লাসে আমার রোল সব সময় ১০-এর মধ্যেই থাকে। তবে গতবার বার্ষিক পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করলেও আমি অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় বেশি ভালো করিনি। তাই এ বছর ক্লাসে আমার রোল অনেক পিছিয়ে যাবে বলে ভয় হচ্ছে। আমি ভালো ছাত্র। তাই শিক্ষক আর বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক বেশি ভালোবাসা পেতাম। ক্লাসে মনোযোগী বলে আমার গুরুত্বও ছিল অনেক। কিন্তু জিপিএ-৫ না পেলে কাউকে মুখ দেখাতে পারব না। আমার এ খারাপ ফলাফলের জন্য যে অবস্থার সৃষ্টি হবে, তা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমার এখন কী করা উচিত? কীভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারি? আর জিপিএ-৫ না পেলে কোনো সমস্যা হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: বোঝা যাচ্ছে তোমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কিছুটা হারিয়েছ। জেএসসি পরীক্ষা তোমার প্রত্যাশা অনুযায়ী অসাধারণ হয়নি। তুমিই লিখেছ মোটামুটি ভালো হয়েছে। তোমার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার তুলনায় বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে। তুমি কি বুঝতে পারছ তুমি সচেতন হয়েছ বলেই ফলাফল ভালো হয়েছে? নিজেকেই নিজে একটু ধন্যবাদ দাও না। এই অনুপ্রেরণা ধরে রাখার দায়িত্ব তোমারই। তুমি আরও লিখেছ গত বছরের অর্ধবার্ষিকীর ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে এ বছর তোমার রোল পিছিয়ে যাবে এ দুশ্চিন্তায় তুমি অস্থির। একটু ভেবে দেখবে অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা আমাদের ভালো থাকার অন্তরায় কিনা। তুমি যদি সত্যিই ভালো ফলাফল দেখতে চাও তাহলে তোমার সমস্ত মনোযোগ বর্তমানে দিতে হবে। সচেতনভাবে পরিকল্পনা করে নতুন উদ্যমে পরিশ্রম করতে হবে। সংক্ষিপ্ত বলে কিছু নেই। তুমি জিপিএ-৫ পাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তা করছ। ভালো ফল অবশ্যই প্রশংসনীয়। এটাও মনে রাখবে এই ফলাফল যাই হোক, গ্রহণ করতে হবে। এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেবে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সিঁড়ি সততা, দক্ষতা, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ব্যবস্থাপনা ঠিক রেখে ভালো করতে পারবে। সমস্যার মধ্যে আটকে না থেকে সমাধানের পথ তোমাকেই খুঁজে বের করতে হবে।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।