আমাকে বোঝার মতো কেউ নেই

আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। বিভিন্ন কারণে আমি দুঃখ-দুর্দশায় ভুগি। যেমন আমি নিজেকে খুব একা মনে করি। আমি তেমন কথা বলি না, কিন্তু যখন বলি মনে হয়, আমাকে অবহেলা করা হয়, অথবা আমার কথার মাঝে হঠাৎ অন্য কেউ কথা বললে আমার কথা আর শেষ করতে পারি না। আমার কেন যেন মনে হয়, আমার সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না। একসময় আমার মনে হতে থাকে, আমাকে বোঝার মতো কেউ নেই। ফ্রেন্ডশিপ ডে, বার্থডে বা কোনো বিশেষ দিনে আমি যতই উপহার দিই না কেন, আমার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই এমন হয়, কেউ আমাকে উইশ পর্যন্ত করেনি।

এ ছাড়া আমার মনের মধ্যে সারা দিন নানা ধরনের কল্পনা মাথায় ঘুরতে থাকে। আমি না চাইলেও। অধিকাংশই হয় নেতিবাচক গোছের কল্পনা। এতে পড়ালেখার খুবই ক্ষতিও হচ্ছে। নিজেকে সব সময় অন্যদের চেয়ে আলাদা বলে মনে হয়, যা আমার একেবারেই পছন্দ নয়। মন খারাপ হলে ছবি আঁকা, বইপড়া প্রভৃতির মাধ্যমে কিছুটা কমলেও পুরোপুরি কমাতে পারি না।

নাম-ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: তোমার চিঠি পড়ে মনে হয়েছে, তুমি খুব বেশি একঘেয়েমিতে ভুগছ। একাকিত্ব, অন্যের মনোযোগ না পাওয়া, বন্ধুহীনতা সবকিছুই চিঠিতে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। ধন্যবাদ তোমাকে মনের কথা লিখে পাঠানোর জন্য। তুমি অসচেতনভাবেই সব নেতিবাচকতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছ। কত দিন ধরে তুমি এ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছ? আমার মনে হচ্ছে, তোমার সহযোগিতা ও সাপোর্ট দরকার। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন, এমন অভিজ্ঞ কাউন্সেলর বা সাইকোথেরাপিস্টের সহযোগিতা নিতে পারো।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।