যকের ধন বাঙালি সাহিত্যিক ও গীতিকার হেমেন্দ্রকুমার রায়ের সেরা উপন্যাসগুলোর একটি। এই উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে তাঁর বিখ্যাত জুটিগুলোর একটি— দুঃসাহসী বিমল ও কুমার। তিনি তাঁর ৭৫ বছরে বড়দের ছাড়াও ছোটদের জন্য অনন্য সব গল্প, উপন্যাস লিখে বিখ্যাত হয়েছেন। ছোটদের জন্য প্রচুর রোমাঞ্চকর গল্প–উপন্যাস লিখেছেন। তার মধ্যে সেরাদের সেরা যকের ধন। এ উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে কিশোর কুমার ও তার প্রাণের বন্ধু বিএ পড়ুয়া বিমলের গুপ্তধন উদ্ধারের শ্বাসরুদ্ধকর ও রোমাঞ্চকর এক কাহিনি। রোমাঞ্চের শুরু হয় কুমারের ঠাকুরদাদার মৃত্যুর পর। ঠাকুরদাদার মৃত্যুর পর তার লোহার সিন্দুকের একটি কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে পাওয়া যায় মড়ার মাথার খুলি ও একটি পকেট বই। মড়ার মাথার খুলিতে দেখতে পায় কতগুলো সংখ্যা। এগুলো আসলে সাংকেতিক চিহ্ন। রহস্য দানা বাঁধে। পকেট বই পড়ে জানতে পারে আসামের খাসিয়া পাহাড়ের গুহার ভেতর আছে যকের গুপ্তধন। খুলিতেই আছে গুহার ভেতরে গুপ্তধন খোঁজার রাস্তা। কুমারের বন্ধু বিমল গুপ্তধনের সংকেত পাঠোদ্ধার করে। এবার গুপ্তধন খুঁজে বের করতে হবে। কুমারের প্রতিবেশী কড়ালি যকের ধনের কথা জেনে যায়। ভাড়াটে গুন্ডাদের নিয়ে কড়ালি তাদের পিছে লেগে যায়। বিমল, কুমার, বিমলের চাকর চলে যায় আসামে গুপ্তধন খুঁজতে। কিন্তু চুরি হয়ে যায় মড়ার মাথার খুলি। বহুবার তাদের মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। কখনো গুহার মুখে বাঘ আবার কখনো কড়ালির ষড়যন্ত্রে। শুরু হয় দুর্গম পাহাড়ে গুপ্তধন খুঁজে নেওয়ার শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই। যে অভিযানে পদে পদে ছিল মৃত্যুর আশঙ্কা। সে অভিযানে তারপরে কী হলো? কে নিতে পারল গুপ্তধন? কে জিতে গেল গুপ্তধনের লড়াইয়ে—বিমল, কুমার নাকি কড়ালি? জানতে হলে পড়তে হবে যকের ধন বইটি। একবার পড়তে বসলে আর শেষ না করে ওঠা যায় না।