মনে হয় আত্মহত্যা করি

অলংকরণ: শিখা

আমার বয়স ১৫ বছর। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। পড়াশোনায় মোটামুটি ভালো। আমার খুব ইচ্ছা ক্রিকেটার ও বিজ্ঞানী হব। দুটোর জন্যই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আম্মু যখন কোনো কাজ করে, তখন শুধু বলে, ‘এটাই হচ্ছে মেয়েদের কাজ।’ এটা শুনতে শুনতে আমার নিজের ওপর ঘেন্না ধরে গেছে। শুধু ভাবি, ছেলে হলাম না কেন? এমনকি মনে হয় আত্মহত্যা করি। যখন ঝগড়া বাধে, তখন বলি, পেটে থাকতেই মেরে ফেললে না কেন? ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। মনে হয়, মা শুধু আমার বড় ভাইবোনদের কথা ভাবে, আমার কথা ভাবে না। আমি সবচেয়ে ছোট। যেমন, ভাইয়াকে গিটার কিনে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাকে অনেক কিছু কিনে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কিছু কিনে দেয় না। শুধু জামাকাপড় কিনে দেয়। আমার তাও পছন্দ হয় না। আব্বু কিছু বলে না। ভাইয়ার সঙ্গে শুধু মারামারি হয়। যখন অসহ্য হয়ে যাই, তখন বলে আমি নাকি বেশি বড় হয়ে গেছি। আমার কিছু ভালো লাগে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

উত্তর: তোমার শখ ক্রিকেটার এবং বিজ্ঞানী হওয়া। লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট হলে এবং সে পথে পৌঁছানোর সাধনা, ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা অব্যাহত থাকলে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাবেই। সংক্ষিপ্ত বলে কিছু নেই। সুন্দর সুন্দর ইচ্ছে ও আকাঙ্ক্ষার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে পরিবারের সঙ্গে তোমার একধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তোমাকে ওনারা বুঝতে পারছেন না। আর তোমারও অভিমানী মন বিদ্রোহ করছে। তোমার মধ্যে একধরনের নেতিবাচকতা তৈরি হয়েছে। আমি তোমার কষ্ট বুঝতে পারছি। তুমি প্রয়োজনে আত্মপ্রত্যয়ী ও ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে অভিজ্ঞ কাউন্সেলরদের সাহায্য নিতে পারো।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।