মুক্তি পাব কীভাবে?

আমার এখন আর কিছু বলার নেই। মনটা খুবই খারাপ। আমার একদমই পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে না। আমি যদি পড়তে বসে অন্য কোনো কাজ করি, ইচ্ছা করে শুধু সে কাজটাই করতে। কিন্তু কখনোই পড়াশোনায় মন বসাতে পারি না আমি। আমার জন্য আম্মু মন খারাপ করে বসে থাকে। অথচ আমি আগে পড়াশোনা করতে ভালোবাসতাম। কিন্তু এখন আর ভালো লাগে না। আমার হাতের লেখাও ভালো নয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাব কীভাবে?

মাশরিফ বিন মারুফ

উত্তর: তুমি এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছ এবং লেখাপড়ায় মন দিতে চাইছ, এ জন্য ধন্যবাদ। তুমি লিখেছ, তোমার এখন আর কিছুই বলার নেই, এই কিছুর গভীরে আরও কোনো বেদনা লুকিয়ে আছে কি না, বুঝতে পারছি না। তুমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ো লিখেছ, তুমি বয়ঃসন্ধির একটা সময় পার করছ। বিকাশের এই ধাপে শারীরিক, মানসিক ও হরমোনের নানা পরিবর্তন চলতে থাকে। মনের মধ্যে নানা রকম অসংগতি চলতে থাকে, মনে হয় আমাকে কেউ বোঝে না। হঠাৎ রাগ হয়, কান্না পায়, হাসি আসে। বন্ধুবান্ধবকে মা-বাবার চেয়ে আপন মনে হয়। অথচ ভেতরে ভেতরে মায়ের প্রশ্রয়, বাবার অনুমতি, ভাইবোনের ভালোবাসার কাঙালিপনা কাজ করে। তুমি কোন মানসিক অবস্থার মধ্যে আছ, বিস্তারিত জানতে পারলে সুবিধা হতো। তোমার এ অবস্থার কথা তোমার কাছের কারও সঙ্গে সেটা মা অথবা বড় বোন বা ভাইয়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারো। ভেতরটা হালকা হয়ে গেলে সব কাজই সহজ হয়ে যাবে। লেখাপড়ায় মন দিতে পারবে, মা তোমার অর্জনে খুশি হয়ে যাবে। লেখাপড়া তো জীবনের একমাত্র অর্জন নয়। ভালো মানুষ হতে হলে শরীর ও মনের যত্নের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর সুষম খাবার, ব্যায়াম, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চা।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।