যেতে চাও জাদুর দুনিয়ায়?

তুমি একজন জাদুকর! ছু মন্তর ছু জাদুকর না, একদম আসল জাদুকর। যার কাজ খরগোশ গায়েব করে দেওয়া না, কাচের গ্লাসকে সবার সামনে খরগোশ বানানো। শুধু তুমি একাই না, তোমার মা–বাবাও তোমার মতোই জাদুকর। কল্পনা করে দেখো তো, হঠাৎ এ খবর জানতে পারলে তোমার কেমন লাগবে? তোমার যেমন লাগবে, হয়তো ঠিক তেমনই লেগেছিল ১১ বছর বয়সী ছোট্ট হ্যারির। তাই তো ও প্রথমে হ্যাগ্রিডের কথা বিশ্বাস করতে চায়নি। হ্যাগ্রিড হলো হগওয়ার্টস গেমকিপার। আর হগওয়ার্টস হলো জাদুবিদ্যা শেখানোর স্কুল, যেখানে আমাদের মতো বাংলা, অঙ্ক পড়তে হয় না। পড়তে হয় নিত্যনতুন জাদুর কলাকৌশল। খুব মজার মনে হচ্ছে? তাহলে আরও শুনে নাও, হগওয়ার্টস এমন একটা স্কুল, যা সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে। তারা এটা দেখতেই পায় না! সামনে দিয়ে গেলেও না। লোকচক্ষুর আড়ালে এমন মজার একটা স্কুলে পড়ার সুযোগ পেলে তুমি কি কখনো তা ছেড়ে দিতে? নিশ্চয়ই না। হ্যারিও তাই ছেড়ে দেয়নি। চলে আসে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট অ্যান্ড উইজার্ডিতে। শুরু করে এক নতুন জীবন, তার আন্টি ও আংকেলের কাছের সেই অপমানকর ও দুর্বিষহ জীবন থেকে অনেক অনেক দূরে। সে হয়তো তার নতুন বন্ধু, নতুন স্কুল, নতুন জীবন নিয়েই থাকতে চেয়েছিল, কিন্তু ছোট্ট হ্যারি বুঝতে পারেনি যে নিয়তি কতটা নিষ্ঠুর।

সে জানতে পারল যে সব জাদুই ভালো নয়। কিছু খারাপ বা কালো জাদুও আছে। তার মা–বাবার মৃত্যুও এমন এক কালো জাদুকরের হাতেই হয়েছে। তখন সেই জাদুকর হ্যারিকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। সে এখনো হ্যারিকে মেরে ফেলতে চায় এবং নানা চেষ্টা করে তার ক্ষতি করার জন্য। হ্যারিও কম যায় না। বয়স কম হলেও তার সাহস অনেক বেশি। তাকে সাহায্য করে যায় তার বন্ধুরা। কিন্তু তারা দুজন মুখোমুখি হয় এমন এক সময়ে, যখন হ্যারিকে সাহায্য করার জন্য কেউ নেই। কী হবে হ্যারির? হ্যারি কি বেঁচে ফিরতে পারবে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে তোমাকে পড়তে হবে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন। জে কে রাউলিংয়ের ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের প্রথম বই এটি। এটা এমনই একটি বই, যেটা পড়তে বসলে অন্য সবকিছু ভুলে যেতে হয়। তখন অঙ্ক হোমওয়ার্ক বাকি নাকি টিউটরের পড়া, কিছুই আর মনে থাকবে না। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও বইটি অনূদিত হয়েছে।

লেখক: একাদশ শ্রেণি, হামদর্দ পাবলিক কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন