ফেলনা দিয়ে বানাও ফুলের গাছ

কদিন পরই তোমাদের পরীক্ষা শেষ। বেশ খানিকটা সময় পাবে হাতে। তাই ভাবলাম এমন কিছু করা যাক যাতে তোমাদের সময়টা ভালো কাটবে। তোমরা অনেকেই বলেছ এমন একটা সংখ্যা প্রকাশের কথা, যেখান থেকে নানা কিছু বানাতে পারবে।

সে জন্যই নো DIY সেলফ। বাংলায় বলা যায় ‘এসো নিজে করি’। পৃথিবীজুড়ে DIY (ডু ইট ইয়োরসেলফ) ব্যাপক জনপ্রিয়। তোমাদের জন্য বেশ কিছু ক্র্যাফট বানানোর নিয়ম দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি এমনকিছু ক্র্যাফট তৈরি করতে যেগুলোর উপাদান তোমাদের হাতের কাছেই আছে। একটু চেষ্টা করলেই তোমরা বানাতে পারবে। আরেকটা ব্যাপার, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের দেশীয় কিছু ক্র্যাফট তৈরি করতে। সঙ্গে কিছু মজার ক্র্যাফটও রয়েছে। তোমরা নিয়মগুলো দেখে ক্র্যাফটগুলো তৈরি করে ফেলো। চাইলে ছবি তুলে আমাদের পাঠাতেও পারো। যদি তোমাদের ভালো লাগে, ভবিষ্যতেও আমরা এরকম আয়োজন করব।

তোমাদের জন্য এই ক্র্যাফটগুলো তৈরি করেছেন সাদিয়া শারমিন। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন মো. শামীম হোসাইন, শাদিনা শুকরিয়া, ও আবু তালেব রাফি। লিখেছে রওনাক জাহান ও আসহাবিল ইয়ামিন। ছবি তুলেছেন আব্দুল ইলা।

১. বোতলের সাতটি ক্যাপ

২. দুটি ওয়ান টাইম চামচ

৩. মাটির দইয়ের পাত্র

৪. ফেব্রিক রং ও তুলি

৫. গ্লু গান

৬. ককশিট

মাটির দইয়ের পাত্রের ওপর ককশিট কেটে মুখের আকৃতি তৈরি করতে হবে। ভালো করে আঠা দিয়ে আটকাতে হবে, যাতে এটি মাটির মতোই ফুলটিকে ধরে রাখে।

মাটির পাত্রটিকে ইচ্ছেমতো রং দিয়ে নকশা করে সাজিয়ে নিতে হবে।

এবার বোতলের ক্যাপগুলোকে মাঝখানে একটি রেখে চারপাশে ছয়টি করে জোড়া লাগাতে হবে, যাতে একটি ফুলের আকৃতি তৈরি হয়।

ফুলের ডাল হিসেবে ওয়ান টাইম চামচের লম্বা অংশ কেটে ক্যাপের সঙ্গে জোড়া লাগাতে হবে।

চামচের গোলাকার অংশটিকে পাতা হিসেবে ব্যবহার করে ফুলের ডালের দুই পাশে লাগাতে হবে।

তৈরি করা ফুলটিকে মাটির পাত্রের মধ্যে ককশিটের ওপর বসাতে হবে। এরপর ককশিটের সাদা অংশটিকে বাদামি রঙে রঙিন করতে হবে।