রানা প্লাজা ধস
এগারো বছর আগে ২০১৩ সালের আজকের এই দিনে সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা রানা প্লাজার ভবন ধসে পড়ে। এতে ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন সহস্রাধিক শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে অঙ্গ হারান ২৭ জন। এর আগের দিন সকাল সাড়ে নয়টায় সাভারের রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএর কর্মকর্তারা রানা প্লাজা ভবনে আসেন। গার্মেন্টসের মালিকদের পরামর্শ দেন, বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পাঁচ গার্মেন্টস মালিক এবং তাঁদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পরদিন (২৪ এপ্রিল) শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক খালেক ও সোহেল রানা। সোহেল রানা সেদিন বলেছিলেন, ‘আগামী ১০০ বছরেও রানা প্লাজা ভেঙে পড়বে না।’
এছাড়া ১৯৭৩ আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
যক্ষ্মার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯২৬ সালের আজকের এই দিনে যক্ষ্মার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার হয়। শিশুকে যক্ষ্মারোগ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার একমাত্র হাতিয়ার বিসিজি (ব্যাসিলি কালমেটি-গুরেন) টিকা। পৃথিবীব্যাপী প্রায় ১০০ দেশে এক বছরে কম বয়সী শিশু ও ছোটদের এ টিকা দেওয়া হয়।
বিসিজি টিকাদান শিশুর শরীরে যক্ষ্মারোগ হওয়া প্রতিরোধ করে না। টিকা দিলেই যে জীবনে যক্ষ্মা হবে না, বিষয়টি তেমন নয়। তবে শিশুর সারা দেহে ছড়িয়ে পড়া যক্ষ্মা (মিলিয়ারি টিউবারকিউলোসিস) ও মস্তিষ্কের যক্ষ্মারোগের মতো জীবনসংহারক যক্ষ্মা থেকে শিশুকে সুরক্ষা দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিসিজি টিকা শিশুর প্রাথমিক যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা না রাখলেও উপরে উল্লেখিত মারাত্মক দুই ধরনের যক্ষ্মায় প্রায় ৮০% কার্যকর ভূমিকা রাখে। তা ছাড়া শিশুর বয়স, পুষ্টি অবস্থা ও অন্যান্য ফ্যাক্টর বা অবস্থার ওপর নির্ভর করে ফুসফুসের যক্ষ্মার ক্ষেত্রেও প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে। এভাবে দেখা যায়, বিসিজি টিকাদানের মাধ্যমে ক্ষতিকর যক্ষ্মা (অ্যাকটিভ) ও মৃত্যুর হাত থেকে শিশু রক্ষা পায়।