কয়েন–রহস্য
আমার বয়স তখন ৭ বছর। সাধারণত এ বয়সেই সবার দুধদাঁত পড়ে যায়। আমারও একটার পর একটা দাঁত পড়া শুরু হয়েছে। তখন আবার আমার বিশ্বাস ছিল, আমি যদি পড়ে যাওয়া দাঁতটি ধুয়েমুছে বালিশের নিচে রেখে ঘুমাই, তাহলে সেই দাঁতটার বদলে কেউ হয়তো সোনার কয়েন দিয়ে যাবে। আমার প্রথম দাঁতটি পড়ার পর সেটি বালিশের নিচে রেখে শুয়ে পড়লাম। সকালে অনেক ভয়ে ভয়ে বালিশ সরালাম। দেখলাম দুটি এক টাকার সোনালি রঙের কয়েন রাখা। আমি তো মহাখুশি। বাড়ির সবাইকে এটি দেখালাম। এরপর এভাবে করে দাঁত পড়ে আর কয়েন পাই। একদিন দাঁত রেখে ঘুমানোর পর আমার রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য উঠি। এরপর ঘুমানোর নাটক করে জেগে থাকি, দেখার জন্য কে এটি করে। হঠাৎ রুমের মধ্যে কেউ এসেছে বলে মনে হলো। আমি ভয় পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠলাম। আম্মু এসে লাইট জ্বালিয়ে হাসতে শুরু করল। দেখলাম সেটি চোর না, আব্বু। হাতে কয়েন। পরে বুঝতে পারলাম কয়েনগুলো আসে কোথা থেকে।
*লেখকের নাম পাওয়া যায়নি