নিচের লিংক থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে আহসান হাবীবের উপন্যাস 'উড়তে না জানা ছেলেটা'।
এটি আমার প্রথম কোনো গল্পের রিভিউ। ‘উড়তে না জানা ছেলেটি’ উপন্যাসটি কিশোর আলো ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। আহসান হাবীবের এই উপন্যাসের মূল চরিত্র রাফিন রিয়াজ। সে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে চাচার সঙ্গে থাকবে বলে। ভর্তির জন্য একটা স্কুলে যায় রাফিন। প্রথম দিনই দেরি হওয়ায় তাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় দারওয়ান। রাফিন আমগাছ বেয়ে তরতর করে উঠে পড়ে। এরপর দেয়াল টপকে একলাফে স্কুল কম্পাউন্ডে চলে যায়।
নতুন স্কুলে রাফিন কোনো দোষ না করলেও তাকে কেউ পছন্দ করল না। ক্লাসে দেরি করে ঢোকায় স্যার তাকে শাস্তি দিলেন। স্যারের দেখানো জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল রাফিন। সে খেয়াল করল, ক্লাসের ছেলেমেয়ে সবাই হাসিমুখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা নিশ্চয়ই মজা পাচ্ছে। মিনিট দশেক পর স্যার রাফিনকে বসতে বললেন। শেষ বেঞ্চে জায়গা হলো ওর। রাফিন এক পায়ের জুতা খুলে পাশে রাখলো। তখনই খেয়াল করল, পাশের লম্বা ছেলেটা তার লম্বা পা দিয়ে তার খোলা জুতাটায় একটা লাথি দিল। এমন করতে করতে সবাই লাথি দিল জুতাটায়। শেষ পর্যন্ত জুতাটা স্যারের পায়ের কাছে গিয়ে থামল। স্যার কিছুক্ষণ জুতার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর একটা হুংকার দিলেন!
'এটা কার জুতা?'
ক্লাসে পিনপতন নিস্তব্ধতা। সবাই চুপ। স্যার এবার দ্বিতীয়বার হুংকার দিলেন। ঠিক হুংকার দিলেন না, চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন,’আনসার মি! হুজ শু ইট ইজ? অ্যান্ড হু ডিড ইট?’
তখন অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটল। সবাই দেখল জুতাটা উল্টে ছিল, হঠাৎ করে সেটা আপনা আপনি সোজা হলো। তারপর খেলনা গাড়ি ছুটে চলার মতো শাঁই করে বেঞ্চের নিচ দিয়ে রাফিনের পায়ের কাছে চলে এল। রাফিন সেটা আস্তে করে পায়ে ঢুকিয়ে নিল। ব্যাপারটা সবাই চট করে বুঝতে পারল না।
সবাই কি তাকে এমন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের জন্য পছন্দ করে? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে আছে? জানতে হলে পড়তে পারো দারুণ রহস্যময় উপন্যাসটি। কিশোর আলোর ওয়েবসাইটেই পড়তে পারবে ‘উড়তে না জানা ছেলেটি’।
আমার রেটিং: ৫/৫
লেখক: শিক্ষার্থী, ৮ম শ্রেণি, কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়