মা তুমি সেরা
২০১৮ সালের ঘটনাটা। তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। এক রাতে পড়া বাদ দিয়ে টিভি দেখার জন্যে মা অনেক বকা দিয়েছিল। আমি আসলে পড়া শেষ করেই টিভি দেখছিলাম। তাই রাগ করে সেই রাতে মার সঙ্গে কথা বলিনি। পরের দিন সকালে প্রাইভেট থেকে আসার পথে ঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না। কোনো রকমে বাসায় এসে কলিংবেল চাপ দিয়েই সেন্সলেস হয়ে পড়লাম।
যখন জ্ঞান ফিরল, তখন নিজেকে আবিষ্কার করি মার কোলে। তখনও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ মার দিকে তাকাতেই দেখি তার চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। মাথায় পানি দেওয়ার পর অনেকটা সুস্থ হই আমি। এর আধা ঘণ্টা পরও মা কাঁদছিল। আমি মাকে বিভিন্নভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকি।
মা শুধু বলেছিল, তোমাকে বকা দিলে আমার অনেক কষ্ট হয়, আর তুমি যদি আমার ওপর রাগ করো তাহলে আমার ভালো লাগবে বলো? আমি বললাম আর কখনো রাগ করব না, প্রমিস।
মার সেই তৃপ্তির হাসিটা আমার এখনো মনে আছে। এরপর থেকে আর কখনো মার ওপর বিন্দু মাত্র রাগ করিনি। যখন অসুস্থ হতাম, কত কষ্ট করে যত্ন নিত মা, সেসব মনে হলেই চোখ ভিজে আসে। অনেক দিন হলো পড়াশোনার জন্য মার কাছে থাকা হয় না, তবে যখনই শোনে আমি অসুস্থ, সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। মায়েদের ভালোবাসা এমনই, নিঃস্বার্থভাবে সন্তানকে ভালোবাসে। মায়েরা ঠিক মেঘের মতো ছায়া দেয়। অনেকের মতো আমিও কখনো মাকে বলতেই পারিনি, মাকে কতটা ভালোবাসি।
সাদমান হাসান
দশম শ্রেণি, রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় রাণীনগর, নওগাঁ