সবচেয়ে কাছের বন্ধু
কিশোর আলোর এক যুগ। এই এক যুগে কিআ আমার আট বছরের সঙ্গী। মনে আছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাসায় প্রথম আলো পত্রিকার সঙ্গে একটা বই দেখলাম। সেটার ওপরে লেখা ‘প্রিয়দের প্রিয় বই’। বই শব্দ শুনেই চোখ আটকে গেল (তখন অনেক বইপাগল ছিলাম)। সেই বইয়ের ওপর লেখা ‘কিআ’। তখন আম্মু বলল, এটা নাকি প্রথম আলোর ম্যাগাজিন। সেই থেকে শুরু হলো কিআ পড়া আর কিআ জমানো।
২০২৩ সালের জুন মাসে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে কিশোর আলোর পেজে চোখ পড়ল ‘কিআ মিটিং-৮৬: অংশ নেবে যেভাবে’। ফরম ফিলআপ করে চলে গেলাম কিআড্ডায়। আমার প্রথম কিআড্ডায় অংশগ্রহণ। কীভাবে সবার সঙ্গে কথা বলব, ভেবে অনেক ভয়ে ছিলাম।
২০১৮ কিআনন্দে সবাইকে কাজ করতে দেখে আমারও ইচ্ছা করেছিল কাজ করব। ২০২৩-এর অক্টোবরের ২১ তারিখ, সেবারই প্রথম কিআর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা। পাভেল ভাইয়া (তৎকালীন সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম) বলেছিলেন, ‘রওনক, তোমাকে লাইভ হোস্ট করতে হবে পেজ থেকে।’ ভয়ে ভয়ে লাইভ করলেও ভেতরে–ভেতরে অনেক খুশি ছিলাম।
শুরু হলো কিআতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা। এরপর ধীরে ধীরে আনন্দঘণ্টা, কিআড্ডাসহ নানা আয়োজনে কাজ করেছি। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হওয়া, সবার সঙ্গে কথা বলা—এ যেন এক শেষ না হওয়া তালিকা! কিশোর আলো থেকে আমার পাওয়া লিখে শেষ করা যাবে না।
কিশোর আলো যেন হয়ে গেল আমার আরেকটা পরিবার। শুধু পরিবার বললে ভুল হবে, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু এখন কিআ। কিআর এক যুগ হয়ে গেল। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুধু এক যুগ কেন, বারো যুগ পার করো তুমি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা তোমাকে কিআ!