শার্লক হোমসের চিঠি–রহস্য
২২১ বি, বেকার স্ট্রিটের বাসায় বই পড়ছে ওয়াটসন। পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না খুব একটা। ক্ষুধায় অবস্থা কাহিল, কিন্তু হোমসের কোনো পাত্তা নেই। বন্ধুবরকে ছাড়া খেতেও মন চাইছে না। ভাবছে, এই অধ্যায় শেষ করতে করতে হোমস না এলে নিজেই খেয়ে নেবে। এ রকম ভেবে ভেবে তিনটা অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে। চতুর্থ অধ্যায়ও শেষ হয়ে যাবে প্রায়, এমন সময় হোমস এসে ঘরে ঢুকল। চেহারায় হাসি ফুটে আছে। নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলার কেস পেয়েছে। তা না হলে হোমসের চেহারা এমন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না।
ঘরে ঢুকেই হোমস ওয়াটসনের উদ্দেশে বলল, ‘অনেক দিন পর পুরোনো বন্ধুর চিঠি এল।’
‘পুরোনো বন্ধুটা আবার কে?’ জিজ্ঞেস করল ওয়াটসন।
‘একমাত্র যে আমার সঙ্গে সমানে সমান টক্কর দিতে পারে!’
‘মরিয়ার্টির কথা বলছ?’
‘সে ছাড়া আমার সমকক্ষ আর কে আছে মাই ডিয়ার ওয়াটসন!’
‘কী চিঠি পেয়েছ?’
‘নিজেই দেখে নাও।’
ওয়াটসন চিঠি পড়ছে…
To Sherlock Holmes,
T5M5RR5W4W4LLST32LTH3CR5WN
J3W3LSTH4SW4LLB3MYGR32T3STTR46MPH
Moriarty
‘এগুলোর মানে কী হোমস?’ জিজ্ঞেস করল ওয়াটসন।
‘এই চিঠির অর্থ উদ্ধার করতে হবে বন্ধু। আমাদের এই কোড ভেঙে অর্থ বুঝতেই হবে।’
‘কিন্তু কীভাবে? তোমার আর মরিয়ার্টির নাম ছাড়া কিছুই তো বোঝা যায় না।’
‘নম্বরগুলো দিয়ে নিশ্চয়ই কোনো ইংরেজি বর্ণ বুঝিয়েছে। সেটাই আমাদের খুঁজতে হবে।’
‘কিন্তু সংখ্যাগুলো ০ ও ১ দিয়ে শুরু না হয়ে ২ থেকে কেন শুরু হয়েছে? কিছুই তো বোঝা যাচ্ছে না।’
‘এটা খুব সহজ, বন্ধু। ইংরেজি বর্ণমালায় ‘I’ এবং ‘O’ আছে, যা দেখতে ইংরেজিতে ১ ও ০-এর মতো। এ জন্য বুদ্ধি করে ওই দুটি অঙ্ক বাদ দিয়েছে মরিয়ার্টি।’
কথাটা বলেই চিঠি নিয়ে বুঁদ হয়ে বসে পড়ল হোমস। আর ততক্ষণে ওয়াটসনের ক্ষুধার কথা আবার মনে পড়ে গেল। কিন্তু সে জানে, ওই ধাঁধার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত হোমস একটা কথাও বলবে না।
এখন তুমি কি এই চিঠির অর্থ খুঁজে বের করতে পারো? তাহলে ওয়াটসন বেচারা একটু দ্রুত খেতে বসতে পারবে!
উত্তর
১. সংখ্যাগুলো দিয়ে ভাওয়েল বোঝানো হয়েছে। 2 = A, 3 = E, 4 = I, O = 5। তাহলে সম্পূর্ণ চিঠিটা হলো: Tomorrow I will steal the crown jewels. This will be my greatest triumph.