শার্লক হোমসের ছদ্মবেশ
অনেক দিন ধরে অলস সময় কাটাচ্ছে হোমস। ওয়াটসনের অবশ্য অনেক কাজ। সারা দিন চিকিৎসা করে তার সময় কেটে যায়। কিন্তু হোমস বাসায় বুঁদ হয়ে বসে থাকে। কখনো উঠে বেহালা বাজায়, তো কখনো বই পড়ে। মাঝেমধ্যে বসে বসে কী যেন ভাবে। এ অবস্থায় হোমসের কাছে কেস এল। কেসটা শুনেই মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল। এই কেসে কোনো ধুরন্ধর খুনি বা অপরাধী নেই। সামান্য চুরির মামলা। কথা শুনতে শুনতেই হোমস বুঝে নিয়েছে, চুরিটা কার কাজ। তবু হাতে কাজ না থাকায় কেসটা নিয়ে নিল। নিজে ছদ্মবেশ ধরে বেরিয়ে পড়ল লন্ডনের ব্যস্ত শহরে। সন্দেহভাজন লোকটির পিছু নিল হোমস। লোকটা একটা শপিং মলে ঢুকল। হোমসও গেল তার পিছু পিছু। সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে হোমসকে সন্দেহ না করে, তাই হোমস মলে ঢুকে প্রথমে একটা জিনিস কিনল। এতে হোমসের কাছে থাকা টাকার এক-চতুর্থাংশ শেষ হয়ে গেল। হঠাৎ লোকটাকে বেরিয়ে যেতে দেখে হোমসও তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ল। ফাজিল লোকটা গিয়ে এরপর ঢুকল আরেকটা দোকানে। হয়তো চুরির জিনিস বিক্রির ফন্দি করছে। হোমসও ঢুকল। সেখানে গিয়েও সন্দেহ এড়াতে হোমসের কাছে থাকা টাকার চার ভাগের এক ভাগ দিয়ে আরেকটা জিনিস কিনল। তারপর যখনই লোকটা চুরির জিনিস বের করল, অমনি ধরে ফেলল হোমস। বেচারা বুদ্ধু চোর গড়গড় করে সব সত্যি কথা বলে দিল।
ভাবছ, এখানে রহস্যটা কোথায়? তোমাকে বলতে হবে, হোমস যদি দুটি জিনিস কিনতে মোট ২ হাজার ১০০ টাকা খরচ করে, তাহলে সে বাসা থেকে কত টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল?
উত্তর: ৪ হাজার ৮০০ টাকা। এই টাকার এক-চতুর্থাংশ হলো ১ হাজার ২০০ টাকা। তাহলে প্রথম জিনিসটা ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কেনার পর তাঁর কাছে থাকবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। আবার এর চার ভাগের এক ভাগ হলো ৯০০ টাকা। তাহলে মোট খরচ ১২০ + ৯০০ = ২১০০ টাকা।