ভয়ংকর ভূতের গল্প
সেদিন সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আচমকা। ছাতা ছিল না, তাই পাশের গলিটার ছায়াঘেরা মোড়টায় এসে দাঁড়ালাম। একটাই দোকান খোলা—ছোট খাবারের দোকান। ভেতরে গোলাপি আলো, দুজন মানুষ দেখা যাচ্ছে আবছা, যেন টিভির পর্দায় ঝাপসা ছবি।
আমি ঠিক জানি না; কিন্তু কেন যেন দোকানটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। ঠিক ভয় না, আবার স্বস্তিও নয়। হয়তো বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ, না হয় গলির নিস্তব্ধতা—সব মিলিয়ে অচেনা চাপ চাপ একটা ঘোর।
হঠাৎ খেয়াল করলাম, দোকানের ওপরের বিদ্যুতের তারগুলো একটু অস্বাভাবিকভাবে কাঁপছে, যেন কেউ ওপর থেকে দুলিয়ে দিচ্ছে; কিন্তু বাতাস তো নেই!
আমি মোবাইল বের করে ছবি তুললাম। ফ্ল্যাশ জ্বলে উঠতেই একমুহূর্তের জন্য চারদিক আলোকিত হয়ে গেল, আর ঠিক তখনই দোকানের ভেতরে আমি আরেকটা মুখ দেখতে পেলাম। না, ভেতরে থাকা দুজনের নয়। জানালার এক কোনায়, হঠাৎ যেন উদয় হওয়া একটা মুখ—সাদা, ফ্যাকাশে, একগাল হাসি।
আমি ভয় পেলাম না; বরং মোবাইলে সেই ছবি দেখে ঘাবড়ে গেলাম।
ছবিতে সেই মুখটা নেই।
ভেতরের আলোটা এবার নিভে গেল হঠাৎ। আর তখনই বৃষ্টি আরও বেড়ে গেল। গলিটা জলে ভেসে যাচ্ছে প্রায়। আমি পেছনে ফিরেই হাঁটা শুরু করলাম; কিন্তু একটা কথা মাথায় ঘুরছিল—ছবিটায় মুখটা থাকল না কেন?
বাসায় ফিরে আবার ছবিটা খুললাম। এবার গলা শুকিয়ে গেল।
ছবিতে দেখি, দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি নিজেই। কিন্তু...আমি তো তখন ছবি তুলছিলাম!
মো. নানজিব ফাহিম
অষ্টম শ্রেণি, বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা