লাল মলাটে মোড়া এক অদ্ভুত পৃথিবী

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

লাল মলাটের ওপর সবুজ রঙে আঁকা একটা বিড়াল ‘সুকুমার সমগ্র’। মলাট উল্টে বই খুললেই তার মধ্যে একটা বিশাল পৃথিবী। যেখানে খুব সহজেই আবোলতাবোল বকা যায়, নির্দ্বিধায় করা যায় নিত্যনতুন পাগলামি। সেই পৃথিবীতে হাঁটতে হাঁটতে কখনো শোনা যায় অর্ফিয়ুসের বীণার সুর, কখনো দেখা যায় পাগলা দাশুর অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা। অলস দুপুরে নিজের ঘরের বিছানায় গা এলিয়েও আমি শুনতে পেতাম দখিন হাওয়ার দেশে জ্যোৎস্না রাতে ভাঙা তারার সাতটা টুকরো নিয়ে মাতারিকির দীর্ঘশ্বাস!

কবে তা মনে নেই, বেশ ছোটবেলায় আব্বুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সুকুমার সমগ্র কেনা। তারপর সেই পৃথিবী দেখা। এখনো যখন বইটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকি, গোটা গোটা ফন্টের শব্দগুলো একেকটা ছবি হয়ে যায়। মন খারাপের দিনগুলোয় দমবন্ধ এই কংক্রিটের শহর থেকে সোজা চলে যাওয়া যায় সবুজ মাঠে। যেখানে রুমাল হয়ে যায় বিড়াল। পুরোনো হতে থাকা বইটার ঘ্রাণ সেই মাঠ, সেই পৃথিবীকে যেন আরও মায়ায় জড়িয়ে রাখে।

লেখক: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেণি, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন