বিয়ের দাওয়াত

চিঠিঅলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

অনেক দিন ধরে কোনো বিয়ের দাওয়াত পাওয়া হয় না। কারণ, আমার কাজিনদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে বড়। তা ছাড়া নানু ও দাদুবাড়িতে বিয়ে করার মতো অবশিষ্ট তেমন কেউ নেই। একদিন আমরা সবাই এ বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎ করে বাবার কাছে একটা ফোন আসে। আমরা সবাই কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করলাম। ফোন শেষ করে বাবা আমাদের সবাইকে জানালেন যে পরদিন তাঁর দূর সম্পর্কের কোনো এক ভাইয়ের বিয়ে। আমরা সবাই সেখানে যাব। সবাই তো খুবই আনন্দিত। সারা রাত কেউ ঘুমায়নি। রাত জেগে নানা ধরনের পরিকল্পনা করি আমরা।

যেমন কে কী রঙের শাড়ি পরবে, কার জুতা কেমন হবে, কীভাবে সাজবে ইত্যাদি আরও কত কী! দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা শেষে পাওয়া বিয়ের দাওয়াত বলে কথা। আমরা সবকিছু গুছিয়ে রওনা দিলাম বিয়েবাড়ির উদ্দেশে। বাড়ি থেকে বের হয়ে আমরা দেখি, রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই। বাবা রাস্তার মানুষকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন যে আজ দেশে হরতাল শুরু হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরাও ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখি, সত্যি সত্যি আজ থেকে দেশে হরতাল। কোনো গাড়ি চলবে না। দোকান খোলা হবে না। ভাগ্যের কী মার! অতএব আমরা এই বিয়ের দাওয়াতটাও মিস করলাম। কী আর করার! আবারও সেই অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা।

জাওয়াতা আফনান

অষ্টম শ্রেণি, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহ

আরও পড়ুন