নতুন এক জগৎ

কিশোর আলো পড়াটা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। একদিন ভাইয়ার টেবিলে দেখি একটা কিশোর আলো। জীবনে প্রথম কোনো ম্যাগাজিন দেখেছিলাম। ম্যাগাজিনটা নিয়ে যখন পড়া শুরু করলাম (তখন শুধু ছবি দেখতাম) তখন নতুন এক জগৎ আমার সামনে উন্মোচিত হলো। কোনো বই এত সুন্দর হতে পারে, আমার ধারণাই ছিল না। আমি ভাবতাম বই হতো বোরিং, সব সাদা-কালো। কিন্তু কিআ পড়ার পর আমার ধারণাটা একদমই পাল্টে যায়।

একদিন শুনলাম ভাইয়া কিশোর আলোর মিটিংয়ে গেছে। তখন মিটিং বলতে আমি ভাবতাম একদল বড় মানুষ একটা গোলটেবিলে বসে সিরিয়াস একটা হাবভাব নিয়ে কোনো কিছু আলোচনা করে। কিন্তু ভাইয়ার সঙ্গে মিটিংয়ে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, সবাই মাটিতে বসে মিটিং করছে। এটা দেখে আমি বেশ অবাক হলাম, তবে আমার ব্যাপারটা পছন্দ হলো। মাসিক সভার (মিটিং) নামটাও আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল—‘কিআড্ডা’।

আরও পড়ুন

এর পর থেকে আমি নিয়মিত ভাইয়ার সঙ্গে আসা শুরু করি। ভাইয়া না গেলেও আমি নিজেই যেতাম। তারপর করোনার কারণে কিশোর আলোর মিটিং বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু কিআ পড়া বন্ধ করিনি আমি। করোনার দীর্ঘ দুই বছর পার হওয়ার পর আবার যখন কিশোর আলো শুরু হয়, তখন প্রায় বেশির ভাগ পাঠক নতুন। পুরোনো হাতে গোনা কয়েকজন ছিল। নতুনদের সঙ্গে পরিচিত হতে একটু সময় লাগল, কিন্তু তত দিনে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখে গিয়েছিলাম।

২০২২-এ কিআর জন্মদিনের আয়োজনের জন্য একটা পোস্ট দেখলাম কিআর ফেসবুক গ্রুপে। একটু ভয়ে ভয়ে কমেন্ট, সিলেক্টও হয়ে গেলাম। সেই থেকে শুরু হলো স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমার যাত্রা।

এরপর একের পর এক আয়োজন, কিআড্ডা, আনন্দঘণ্টা, কিআ কার্নিভ্যাল—এর পাশাপাশি প্রথম আলোর বিভিন্ন আয়োজনে কিশোর আলোর স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল আমার।

কিআর সঙ্গে আমার পথচলা প্রায় আট বছরের। এই সুদীর্ঘ সময় ধরে কিশোর আলো আমাকে এক নতুন জগৎ দেখিয়েছে। শিখিয়েছে অনেক কিছু। যার জন্য আমি কিআর কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ।

আরও পড়ুন