অ্যানিমে কথনের লেখকের সঙ্গে আড্ডা
২৯ নভেম্বর বেলা ৩টা। কিশোর আলোর পাঠকেরা ঠিক সময়ে অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত হলো। বার্ষিক পরীক্ষার এই সময়ে সবাই পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকবে এমন আশা ছিল। বাস্তবে দেখা গেল, পড়ার ফাঁকে অনলাইন কিআড্ডার জন্য নিয়মিত পাঠকেরা সময় বের করে নিয়েছে। মিটিংয়ে যুক্ত হয়ে এক পাঠক জানাল, এখন পরীক্ষার আগে শুধু পড়ে না সে। ক্লাস পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি থাকার কারণে সারা বছরই কিছু না কিছু পড়তে হয়। তাই পরীক্ষার আগে সব পড়ার চাপ থাকে না।
আড্ডার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আহমাদ মুদ্দাসসের। যুক্ত হন কিশোর আলোর সহযোগী সম্পাদক আদনান মুকিত। সঙ্গে ছিলেন কিশোর আলোর ইভেন্ট টিমের সদস্য আব্দুল ইলা ও নওশিন শারমীন। আদনান মুকিত পাঠকের কাছে জানতে চাইলেন, নভেম্বর সংখ্যা কেমন হলো? কারও মতে এবার পুরো সংখ্যা খুব দারুণ হয়েছে। কেউ বলেছে আমার ফিচার পড়ে খুব ভালো লেগেছে। একজন অবশ্য একটা গল্প পড়ে কিছুই বুঝতে পারেনি। মাথার ওপর দিয়ে গিয়েছে।
এরপর আড্ডায় যুক্ত হলেন কিশোর আলোর নিয়মিত বিভাগ অ্যানিমে কথনের লেখক প্রান্ত ঘোষ দস্তিদার। আদনান মুকিত পাঠকদের বললেন, তোমরা অ্যানিমে নিয়ে যত চিঠি কিশোর আলোতে পাঠাও, যত প্রশ্ন জানতে চাও, আমাদের অ্যানিমে কথনের লেখকের কাছে সেগুলো এখন জেনে নাও। পাঠকেরা অ্যানিমে নিয়ে মনের যত কথা আছে, সব বলতে থাকল। জানতে চাইল বেশ কিছু অ্যানিমে নিয়ে। একে একে সবার প্রশ্নের উত্তর দিলেন লেখক। জাপানে অ্যানিমে নিয়ে দেয়াললিখন, দোকানপাট ইত্যাদির ছবি দেখা চলল কতক্ষণ। এরপর অ্যানিমে ক্যারেক্টার আঁকে যারা, তারা নিজেদের আঁকাআঁকি দেখাল। এর মধ্যে এক পাঠককে দেখা গেল, ছোট্ট দুই ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করছে। ভিডিও কল অন করেই চলছে মজার মারামারি। সেটা দেখে অন্যরা হাসল।
কিআ কার্নিভ্যাল নিয়ে ঘোষণা দিয়ে, পাঠকের মধ্যে কাদের জন্মদিন ডিসেম্বরে জেনে শেষ হলো নভেম্বর মাসের কিআড্ডা।